বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাংলায় জঙ্গি যোগ! হাওড়ার বাঁকড়া থেকে এবার গ্রেপ্তার করা হল আমিরুদ্দিন আনসারি নামক এক শিক্ষককে। ধৃতের মোবাইলে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্যের পাশাপাশি উদ্ধার হয়েছে একাধিক জেহাদি বইও। ইউএপিএ ধারায় ওই জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেই গোয়েন্দা সূত্রে খবর।
জানা যাচ্ছে ধৃত জঙ্গি আমিরুদ্দিন আনসারি আদতে পুরুলিয়ার পারা এলাকার বাসিন্দা। হাওড়ার বাঁকড়াতে ভাড়া বাড়ি নিয়ে থাকত সে। ধৃত পেশায় একটি স্কুলের শিক্ষক বলেও জানা গিয়েছে তদন্তে। পুলিশ সূত্রে খবর, আমিরুদ্দিন আনসারি আলকায়দা ইন ইসলামিক সাব কন্টিনেন্টাল সংগঠনের সদস্য। ধৃত ওই জঙ্গিকে এনআইএ জেরা করতে চায় বলেও জানা যাচ্ছে।
কিছুদিন আগেই ভোপালে ধরা পড়ে চার জঙ্গি। সেই চার ধৃতের কাছ থেকেই প্রথম জানা যায় আমিরুদ্দিন আনসারির নাম। ভোপালের ওই ধৃতেরা জানায় যে ৭ মাসের মধ্যে আমিরুদ্দিনের ডোমজুড়ের বাড়িতে ২ বার এসেছিল তারা। সেখানেই চলত প্ল্যান বানানো থেকে শুরু করে পরবর্তী কর্মসূচি নিয়ে আলোচনাও। সেখান থেকেই আমিরুদ্দিনের নাম জানতে পেরে তদন্তে নামেন গোয়েন্দারা।
এই আমিরুদ্দিনের খোঁজে নেমে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন যে, একাধিক জেহাদি বই ছিল আমিরুদ্দিন আনসারির কাছে। টেলিগ্রাম অ্যাপের মাধ্যমেই ওই সব বইয়ের পিডিএফ ভার্সান দেওয়া নেওয়া হত মোবাইলে। কিন্তু পুলিশের তৎপরতার কথা জানার পরই ধরা পড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় সমস্ত তথ্য মোবাইল থেকে ডিলিট করে দেয় ধৃত।
পরে ওই জঙ্গির মোবাইল ফোন থেকে পাওয়া যায় ১২ জিবি ডিলিটেড ফাইলের তথ্য। ঠিক কী নাশকতার পরিকল্পনা চালাচ্ছিল তা তা জানতে তদন্ত করছেন গোয়েন্দারা। খাস বাংলা থেকে শিক্ষকের আড়ালে লুকিয়ে থাকা এহেন জঙ্গির গ্রেপ্তারে কার্যতই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। উঠছে রাজ্যবাসীর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্নও।