আফগানিস্তানের কাবুলে এক হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে জঙ্গি হামলায় মৃত ১২ জন মহিলা সহ ২ শিশু

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা ভাইরাসের (COVID-19) আতঙ্কের মধ্যেই আফগানিস্তানের (Afghanistan) রাজধানী কাবুলে ঘটে গেল আরও এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। একদল জঙ্গি দ্য দশত-ই-বারচি হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে পুলিশে পোশাক পড়ে ঢুকে, তলোপাথারি গুলি ছুঁড়তে শুরু করে। হামলাকারীদের বন্দুকের গুলিতে প্রাণ হারান ২ শিশু এবং ১২ জন মহিলা। তবে এখনও কোন জঙ্গী গোষ্ঠী এই মর্মান্তিক হামলায় দায় স্বীকার করেনি।

new 444 1

হামলাকারীরা হাসপাতালে ঢুকে গুলি বৃষ্টি শুরু করে
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি সূত্রে জানা যায়, রোজকারের চেনা ছন্দে চলতে থাকা হাসপাতালে মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ১০ টা নাগাদ হঠাত গুলির আওয়াজ শুনতে পাওয়া যায়। আচমকা হামলায় সময় ওই হাসপাতালে প্রায় ১৪০ জন মানুষ উপস্থিত ছিল বলে জানা গিয়েছে।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক ব্যাকির মাধ্যমে পাওয়া খবর
ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক ব্যক্তি রমজান আলী সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন,”হামলাকারীরা হাসপাতালে আসা মানুষের দিকে কোনো কারণ ছাড়াই আচমকা গুলি ছুঁড়তে থাকে। এটি একটি সরকারি হাসপাতাল হওয়ার কারণে প্রতিদিনই এখানে অনেক নারী ও শিশুদের চিকিৎসা করতে আসেন”।

new 33

নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে যুদ্ধে নিঃশেষ হয় ওই জঙ্গি দল
হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় নিরাপত্তা বাহিনী। তাঁদের সাথে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে গুলি যুদ্ধের শেষে সমস্ত হামলাকারীকে নিকেশ করা সম্ভব হয়। আফগানিস্তানের এক সরকারি কর্মকর্তা সংবাদ সংস্থা বিবিসিকে জানিয়েছেন, স্পেশাল ফোর্স হাসপাতালে উপস্থিত হয়ে তিনজন বিদেশিসহ প্রায় ১০০ জন নারী ও শিশুকে হাসপাতাল থেকে বের করে নিরাপদে নিয়ে গেছেন।

new 22 2

পূর্বেও এই ধরণের ঘটনার সাক্ষী থেকেছে আফগানিস্তান
এর আগেই এই ধরণের হামলার খবর পাওয়া গিয়েছিল। যেমন, ২০১৭ সালে স্বাস্থ্যকর্মীর ছদ্মবেশে কাবুলের প্রধান সেনা হাসপাতালে বন্দুকধারীর হামলা হয়েছিল। এই ঘটনায় প্রায় ৫০ জন মানুষ নিহত হয়েছিলেন। আবার, গত সেপ্টেম্বরে দক্ষিণাঞ্চলের যাবুল প্রদেশের একটি হাসপাতালের বাইরে এক ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়েছিল। যেখানে একটি বিস্ফোরক ভর্তি ট্রাকের দ্বারা বিস্ফোরণে কমপক্ষে ২০ জন প্রাণ হারান। তবে তালেবানরা অবশ্য ঐ হামলার দায় স্বীকার করে নিয়েছিল।

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর