বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় তোলপাড় বঙ্গ রাজনীতি। চাকরি না পেয়ে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছে সকল চাকরিপ্রার্থীরা। সেই আন্দোলন দিনের পর দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত নিয়োগ পত্র মেলেনি হাতে। এর মাঝে এদিন অবশেষে টেট চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। বৈঠক শেষে চাকরিরপ্রার্থীদের দাবি, “আলোচনা ইতিবাচক হয়েছে।” ইতিমধ্যে তাদের সকলকে লিখিত আকারে সমস্যার কথা জানাতে বলেছেন শিক্ষা মন্ত্রী। তবে সূত্রের খবর অনুযায়ী, এদিন চাকরির ব্যাপারে কোন আশ্বাস দেননি তিনি।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে এসএসসি থেকে শুরু করে প্রাথমিক টেট মামলায় একের পর একের পর এক নয়া তথ্য সামনে এসে চলেছে। তবে দুর্নীতি মামলায় তদন্ত শুরু হলেও এখনো পর্যন্ত নিয়োগপত্র হাতে মেলেনি কারোর। যদিও বর্তমানে ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সম্প্রতি এসএসসি চাকরিরপ্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক করেন তৃণমূল কংগ্রেস সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও এতদিন পর্যন্ত বাংলার বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসের সামনে প্রতিবাদ মিছিলে বসলেও প্রাথমিক টেট চাকরিপ্রার্থীদের কথা কেউ শোনেননি। অবশেষে এদিন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে বৈঠকের পর তাদের দাবি, “আজ শিক্ষামন্ত্রী আমাদের কথা মন দিয়ে শুনেছেন।”
এদিন ব্রাত্য বসুর সঙ্গে বৈঠকে বসেন চাকরিপ্রার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল। ৬ জনের সেই দলের প্রত্যেকেই প্রাথমিক টেট পরীক্ষায় পাস করা সত্ত্বেও এখনো পর্যন্ত চাকরি পাননি বলে অভিযোগ। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষা দিলেও এখনো পর্যন্ত কেন নিয়োগপত্র হাতে পাননি, সেই সকল বিষয়ে এ দিন প্রশ্ন ছুড়ে দেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাদের দাবি, ২০১৪ সালে ১৬ হাজারের বেশি নিয়োগের কথা থাকলেও সেই সময় শিক্ষক নিয়োগ করা হয় মাত্র ১১ হাজার। একইসঙ্গে, কোনো প্যানেল ছাড়াই কেবলমাত্র এসএমএস-এর মাধ্যমে নিয়োগের ব্যাপারে জানানো হয়। এক্ষেত্রে বাকি পদগুলির কি হবে এবং কোনো প্যানেল ছাড়া কিভাবে চাকরিতে নিয়োগ করা যায়, সে প্রসঙ্গে প্রশ্ন তোলেন চাকরিপ্রার্থীরা।
সূত্রের খবর, এরপর শিক্ষামন্ত্রী লিখিত আকারে তাদের সকল অভিযোগ জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। বৈঠক প্রসঙ্গে প্রতিনিধি দলের একজন জানান, “টেট পরীক্ষায় পাস করা সত্ত্বেও কোনো চাকরি মেলেনি। পরবর্তীতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে সামনে প্রতিবাদে বসলেও এতদিন পর্যন্ত কেউ আমাদের কথা শুনছিল না। অবশেষে এদিন শিক্ষামন্ত্রী আমাদের সব কথা শুনেছেন।”