বাংলাহান্ট ডেস্ক : সারারাত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhisekh Banerjee) অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ দেখালেন টেট উত্তীর্ণ চাকরি প্রার্থীরা। শুক্রবার বিকেলে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে (Bratya Basu) সঙ্গে নিয়ে বৈঠকে বসেন এসএসসি চাকরি প্রার্থীদের (SSC Scam) সঙ্গে। সেই সময়ই অফিসের বাইরে তখনই শুরু হয় টেট উত্তীর্ণ চাকরি প্রার্থীদের বিক্ষোভ (TET Scam)। এরপর রাত কেটে গেলেও অবস্থানে অনড় রইলেন তাঁরা। রাত পেরিয়ে সকাল হয়ে গেল। তখনও ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেকের অফিসের সামনেই ঠায় বসে চাকরি প্রার্থীরা। তাঁদের দাবি, তাঁদের সঙ্গেও বৈঠকে বসতে হবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
জানা যাচ্ছে, শুক্রবার যখন এসএসসি চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে ব্যস্ত ছিলেন অভিষেক, তখনই বাইরে শুরু হয় টেট উত্তীর্ণদের বিক্ষোভ। এমনকি অফিসের বাইরে মোবাইলের আলো জ্বালিয়ে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করেন ওই টেট উত্তীর্ণরা। তাঁদের দাবি, ২০১৪ সাল থেকে তাঁদের নিয়োগ আটকে পড়ে রয়েছে। অনেকেরই বয়স পেরিয়ে গিয়েছে। শেষ হয়ে গিয়েছে অন্য কোনও চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনাও। বারবার রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে শুধু প্রতিশ্রুতিই মিলেছে। কাজের কাজ হয়নি কিছুই। ঠিক কবে নিয়োগ হবে, বা আদৌও হবে কিনা তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।
বিক্ষোভ চলাকালীনই অফিসের বাইরে প্রতিনিধি পাঠান অভিষেক। তিনি জানান, এক সপ্তাহ পর টেট উত্তীর্ণদের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। কিন্তু বিক্ষোভকারীদের দাবি, অভিষেক নিজে না এসে প্রতিনিধি কেন পাঠালেন? এক চাকরি প্রার্থী বলেন, ‘প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে আগে বহুবার ঠকেছি আমরা। কোনও সমাধান হয়নি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে এসে কথা বলুন।’ অনেকেই আবার প্রশ্ন তুলেছেন, অভিষেক কেন? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে এসে কথা বলছেন না কেন? প্রার্থীদের দাবি, তাঁরা ২০১৪ সালের নট ইনক্লুডেড ক্যানডিডেট। ২০ হাজার প্রার্থীকে ধাপে ধাপে নিয়োগ করার কথা বলা হলেও, কেন তা এখনও হলো না? এই বিষয় নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন বিক্ষোভকারীরা।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়ে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই ইডির হেফাজতে। এই পরিস্থিতি সরকারের মুখ রক্ষা করতে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার ফোনে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলার পর প্রতিশ্রুতি মতো শুক্রবার তাঁদের সঙ্গে দেখাও করলেন করেন তিনি।
বিশেষ সূত্রে জানা যাচ্ছে, শুক্রবার বৈঠক চলাকালীন এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারকে ফোন করেন ব্রাত্য বসু। নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রশাসনিক স্তরে কী জটিলতা রয়েছে, তা জানতে চান তিনি। বৈঠক শেষে আন্দোলনকারীরা জানান, আগামী ৮ অগস্ট শিক্ষামন্ত্রীর দফতরে আবারও বৈঠক হবে। মেধাতালিকায় যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁরা প্রত্যেকে চাকরি পাবেন। এমনই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যেপাধ্যায়।