বাংলাহান্ট ডেস্ক : দীর্ঘ দিন ধরে আন্দোলনে আন্দোলন চালাচ্ছেন তাঁরা। উৎসবের মধ্যেও চাকরির দাবিতে অনড়। এরপর আজ মঙ্গলবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya) গ্রেফতার হতেই খুশি আবহে আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁরা বলেছেন, ‘মানিকবাবুই তো এতদিন বলে আসছিলেন যোগ্যতা, মেধার ভিত্তিতে চাকরি হয়েছে। আজকে উনিও ওঁর যথাযত যোগ্যতা ও মেধার ভিত্তিতেই গ্রেফতার হয়েছেন।’
একসময় প্রাক্তন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য দাবি করেন যোগ্যতা ও মেধার ভিত্তিতেই সকলে চাকরি পেয়েছেন। তিনি আরও বলেছিলেন, ‘টেটের প্রশ্ন ভুল ছিল বলে যারা মামলা করেছিলেন তাঁদের মধ্যে যাঁরা পাশ করেছেন এবং যাঁরা নন-ইনফ্লুডেড ছিলেন অর্থাৎ যাঁরা আগের মেধা তালিকায় স্থান পাননি তাঁদের সবাইকে নিয়ে মেধার ভিত্তিতে ৭৩৮ জনের একটি মেধা তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এই মেধা তালিকার প্রত্যেকেই নিয়াগপত্র হাতে পাবেন।’ মানিকের সেই মন্তব্যকেই এদিন উপহাস করলেন আন্দোলনকারীরা।
এক আন্দোলনকারী জানান, ‘আমরা রীতিমত খুশি। তবে সম্পূর্ণরূপে নয়। যতদিন না আমরা চাকরি হাতে পাচ্ছি ততদিন পর্যন্ত আমরা খুশি হতে পারব না। তবে একটা ক্ষীণ আশার আলো দেখতে পাচ্ছি। একটাই কথা আমরা বারবার বলছি। আমরা যোগ্য, অথচ বঞ্চিত। আমরা টেট পাশ করে প্রতিক্ষিত হয়েও রাস্তাঘাটে পড়ে রয়েছি। কিন্তু লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে অযোগ্যরা যে চাকরি পেয়েছেন। সেই কারণে আমরা খুশি। আমাদের একটাই নিবেদন যা আমাদের প্রাপ্য তা যেন আমরা পাই।’
অপর এক আন্দোলনকারী বলেন, ‘আমরা তো আশায় বুক বেঁধে দীর্ঘদিন ধরে বসে রয়েছি। ওঁর গ্রেফতারিতে একটু হয়ত স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পাচ্ছি। মানিকবাবুই তো এতদিন বলে আসছিলেন যোগ্যতা, মেধার ভিত্তিতে চাকরি হয়েছে। আজকে উনিও ওনার যথাযত যোগ্যতা ও মেধার ভিত্তিতে গ্রেফতার হয়েছেন।তাই খুব স্বাভাবিকভাবেই মানুষের কাছে পরিস্কার যে উনি এই দুর্নীতির নায়ক।’
যোগ্য চাকরিপ্রার্থরা জানান, তাঁরা ভিড় ট্রেনে বাদুড়ঝোলা হয়ে একবার নয় দু’বার করে পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলেন। একবার পরীক্ষা বাতিল হয়। আবারও নতুন করে পরীক্ষা হয়। শুধু তাই নয়, ইন্টারভিউও দু’বার করে দিয়েছেন বলেই জানান তাঁরা। তারপরও দীর্ঘদিন ধরে প্রাপ্য চাকরির দাবিতে তাঁদের রোদ-ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে তাঁদের রাস্তায় বসে থাকতে হয়েছে। সেই ক্ষোভেউ মানিক ভট্টাচার্যের গ্রেফতারিতে কিছুটা খুশিই হয়েছে লন তাঁরা।