বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ধর্মপ্রাণ বাঙালিদের বাড়িতে ঠাকুরঘর (thakur ghor) নেই এটা হতেই পারে না। ঠাকুরঘর থাকা মানেই সেই বাড়িতে সুখ শান্তির বিরাজ সর্বত্র। বাঙালিরা হয়ত নিজের ঠাকুরঘরটিকেই সবচেয়ে সুন্দর করে সাজিয়ে রাখে। কিন্তু কখনও কখনও মানুষের ভক্তি, বাস্তুর বিরোধিতা করে ফেলে। অর্থাৎ, মানুষজন কিছু বিষয়কে খেয়াল না করেই ঠাকুরঘর বানিয়ে ফেলেন। এজন্য ভক্তি ভরে প্রতিদিন পুজো করার পরও, কুপ্রভাব পড়ে মানুষের জীবনে। ভগবানের কৃপালাভ করা যায় না।
তাই বাড়িতে থাকা ঠাকুরঘরের বিষয়ে বেশ কয়েকটি জিনিস অবশ্যই মেনে চলতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন বিষয়গুলোর দিকে খেয়াল রাখলে আপনিও ভগবানের কৃপা লাভ করতে পারবেন।
সিংহাসনে ঠাকুরের মূর্তিগুলোকে একটু ফাঁকা ফাঁকা করে বসাবেন। অন্তত ১ ইঞ্চি করে ফাঁকা রেখে সাজানো উচিত।
দিনের বেলা সর্বদা ঠাকুরঘরের দরজা খুলে রাখা উচিত।
ধূপধুনোর পাশাপাশি ভোগ দিয়েই সবসময় ভগবানের পুজো করা উচিত।
টয়লেটের পাশে ঠাকুরঘর তৈরি করা একদমই উচিত নয়।
বাস্তুশাস্ত্র মতে ঠাকুরঘর উত্তর-পূর্ব দিকে হওয়া উচিত।
ঠাকুরঘরে খুব বেশি মূর্তি বা ছবি রাখা উচিত নয়। যদি তা সম্ভব না হয়, তাহলে ছবি বা মূর্তিগুলো কখনই মুখোমুখি রাখবেন না। পারলে কিছুটা ফাঁকা স্থান রাখবেন ছবিগুলোর মাঝখানে।
ঠাকুরঘরে যদি শোবার ব্যবস্থা থাকে, তবে সেদিকে পা দিয়ে শোয়া একেবারেই উচিত নয়।
ঠাকুরঘরে কখনই পূর্বপুরুষদের ছবি রাখা উচিত নয়।
ভগবানের রুদ্র রূপের বদলে দর্বদা সৌম্য রূপের ছবি ঠাকুরঘরে রাখা উচিত।