বাংলাহান্ট ডেস্ক: একেই বলে জলে কুমির ডাঙায় বাঘ। ট্রেলার মুক্তি পেতে না পেতেই বয়কটের মুখে অজয় দেবগণ (Ajay Devgan) ও সিদ্ধার্থ মালহোত্রার (Siddharth Malhotra) ‘থ্যাঙ্ক গড’ (Thank God)। আসন্ন এই ছবির বিরুদ্ধে হিন্দু ধর্মে ভাবাবেগে আঘাত হানার অভিযোগ তুলেছে নেটনাগরিকরা। শুধু এখানেই বিপদের শেষ নয়। শোনা যাচ্ছে, দেশের বাইরেও সমস্যার মুখে পড়েছে থ্যাঙ্ক গড।
কুয়েতেও নাকি নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে থ্যাঙ্ক গড ছবির প্রদর্শনী। সে দেশের সেন্সর বোর্ড নাকি ছবিটিকে প্রদর্শনীর অনুমতি দেয়নি। তবে থ্যাঙ্ক গড ছাড়া সানি দেওল, দুলকার সলমন অভিনীত ‘চুপ’, অমিতাভ বচ্চন, রশ্মিকা মন্দানা অভিনীত ‘গুডবাই’, আর মাধবনের ‘ধোকা: রাউন্ড ডি কর্নার’ এবং তামিল ছবি ‘সিনাম’ কেও ছাড়পত্র দিয়েছে কুয়েত সেন্সর বোর্ড।
হিন্দু ধর্মাবেগে আঘাত হানার অভিযোগের পাশাপাশি আরো একটি বিষ্ফোরক অভিযোগ উঠেছে থ্যাঙ্ক গডের বিরুদ্ধে। বাংলা ছবি ‘যমালয়ে জীবন্ত মানুষ’ এর নকল করে নাকি তৈরি হচ্ছে থ্যাঙ্ক গড। ছবির ট্রেলার দেখে সিনেপ্রেমীদের একটা বড় অংশ দাবি করছেন, এ ছবি হুবহু যমালয়ে জীবন্ত মানুষের নকল।
কিংবদন্তি অভিনেতা ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় অভিনীত যমালয়ে জীবন্ত মানুষ বাংলা সিনেমার অন্যতম ক্লাসিক। দীনবন্ধু মিত্রের লেখা গল্পকে সিনেমার রূপ দিয়েছিলেন পরিচালক প্রফুল্ল বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবিতে দেখানো হয়েছিল, সিধু অর্থাৎ ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় জীবিতাবস্থায় যমালয়ে পৌঁছে যান। চিত্রগুপ্তের পাঠানো যমদূত ভুল করে জ্যান্ত মানুষকে ধরে যমালয়ে নিয়ে চলে যায়। তারপর সেখানে ঘটা নানান হাস্যকর ঘটনা নিয়ে তৈরি হয়েছিল ক্লাসিক সেই ছবি।
এদিকে বলিউডের থ্যাঙ্ক গড ছবির ট্রেলারেও দেখানো হয়েছে, গাড়ি দুর্ঘটনার পর মডার্ন চিত্রগুপ্ত অজয় দেবগণের সামনে হাজির হন প্রতারক সিদ্ধার্থ। তাঁকে জানানো হয়, তিনি জীবন মৃত্যুর মাঝামাঝি স্তরে রয়েছেন। তাঁর দুর্বলতাগুলো গণনা করে স্বর্গ বা নরকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেবেন চিত্রগুপ্ত ওরফে অজয় দেবগণ। দুটি ছবিরই গল্প প্রায় এক।
পরপর ঝামেলায় জড়ালেও এখনো অভিযোগ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি নির্মাতারা। অজয় বা সিদ্ধার্থ কেউই এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি এখনো পর্যন্ত। যদিও নেটপাড়ায় ফের উঠেছে ছবি বয়কটের ঢাক। থ্যাঙ্ক গডের অবস্থাও লাল সিং চাড্ডা বা রক্ষা বন্ধনের মতো না হয়, আশঙ্কা ফিল্ম বিশেষজ্ঞদের।