মাসে আয় করেন মাত্র ১৪ হাজার টাকা, ৮০ বছরের বৃদ্ধার সুইস ব্যাংকে রয়েছে ২০০ কোটি টাকা

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ সুইস ব্যাংকে (Swiss Bank Corporation) টাকা রাখার স্বপ্ন অনেকে দেখলেও, সেটা অনেকটা আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়ার মত। তবে এই আকাশের চাঁদই যে তাঁর হাতের মুঠোয় রয়েছে, তা ঘুণাক্ষরেও জানতে দিতে চায়নি বেঙ্গালুরুর (Bengaluru) এক বৃদ্ধা। উল্টে সরকারের থেকে বেমালুম চেপে গেলেন সুইস ব্যাংকের অ্যাকাউন্টের কথা।

সুইস ব্যাংকে রয়েছে মোটা অর্থ
রেণু থারানি নামক ওই বৃদ্ধার বয়স ৮০ বছর। তিনি একটি ব্যাংকে কাজ করেন, তাঁর মাসিক আয় ১৪০০০ টাকা। কিন্তু আয়কর বিভাগের আপিল ট্রাইব্যুনালের মুম্বই শাখা জানাচ্ছে ওই বৃদ্ধার সুইস ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে মোটা অঙ্কের কালো টাকা রয়েছে। জেনেভা-র এইচএসবিসি ব্যাঙ্কের শাখায় তাঁর একটি নিজস্ব অ্যাকাউন্ট রয়েছে। সেখানে রয়েছে মোট ২০০ কোটি টাকা।

Swiss 1

বেমালুম চেপে গেলেন বৃদ্ধা
প্রথমে ২০০৪ সালের জুলাই মাসে কেম্যান দ্বীপপুঞ্জের ‘জিডব্লু ইনভেস্টমেন্ট’ সংস্থার নামে ওই অ্যাকাউন্ট খোলা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে সংস্থার প্রশাসক হিসাবে পুরো তহবিলটিই ‘থারানি ফ্যামিলি ট্রাস্ট’-এর  নামে স্থানান্তর করা হয়। এই ঘটনার পর থেকে থারানি ট্রাস্টই ওই অ্যাকাউন্টের অধিকারী। এদিকে আবার ২০০৫-২০০৬ সালে ইনকাম ট্যাক্স জমা দেওয়ার সময় বৃদ্ধা জানান তাঁর বার্ষিক আয় মাত্র ১.৭ লক্ষ টাকা। সুইস ব্যাংকের অর্থের কথা বেমালুম চেপে গিয়ে নিজেকে ভারতীয় করদাতা হিসাবে প্রমাণ করতে চান।

অভিযোগ অস্বীকার করেন বৃদ্ধা
সরকারী তদন্তে সব ধরা পড়লে ২০১৪ সালে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। কিন্তু তখন তিনি নিজের বিরুদ্ধে  ওঠা অভিযোগ খারিজ করার জন্য জানান, জেনেভা-র এইচএসবিসি ব্যাঙ্কে তাঁর কোন অ্যাকাউন্ট নেই এবং তিনি নাকি জিডব্লু ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কের পরিচালন গোষ্ঠীর সদস্য নন। সর্বোপরি তিনি তাদের শেয়ারহোল্ডারও নন।

taka 2 1

দায়ের হয়েছে মামলা
কিন্তু এই ঘটনার কিছুদিনের মধ্যেই তিনি আবার সব কিছু স্বীকার করে নিয়ে বলেন, সুইস ব্যাংকে তাঁর অর্থ থাকলেও, তাঁর জন্য ভারতীয় সরকার কোনোরকম কর দাবী করতে পারে না। নিজেকে অনাবাসী ভারতীয় বলে দাবী করলেও, মাত্র এক বছর আগে তিনি ভারতে এসেছেন। কিন্তু এই অল্প সময়ের মধ্যে তাঁর সুইস ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ২০০ কোটি টাকা কোথা থেকে এল, তাঁর কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি। তবে ওই বৃদ্ধার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে, তাঁকে ট্যাক্স সহ মোটা অঙ্কের জরিমানাও ধার্য করা হয়েছে।

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর