বাংলা হান্ট ডেস্ক: অজানাকে জানা, অচেনাকে চেনা এবং অদেখাকে দেখার ইচ্ছে মানুষের চিরকালের। যুগ এবং সভ্যতা যত এগিয়েছে, ততই বিজ্ঞানের ওপর ভর করে জ্ঞানের সীমাকে বাড়াতে সচেষ্ট হচ্ছে মানুষ। এমনকি, পৃথিবী ছাড়াও সৌরজগতের বাইরে আর কোনও সৌরজগৎ আছে কিনা, তা নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে কৌতূহলের শেষ নেই।
আর সেই কৌতূহল নিরসনের চেষ্টাতেই বহুবছর ধরে চলে আসছে একাধিক গবেষণা এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশই এই তদন্তে নেমেছে। পাশাপাশি, ভিন গ্রহের প্রাণী অর্থাৎ এলিয়েন নিয়েও মানুষের আগ্রহ রয়েছে। এমনিতেই বর্তমান সময়ে এর ওপর ভিত্তি করে একাধিক সিনেমা এবং ভিডিও তৈরি করা হলেও এলিয়েনের প্রত্যক্ষ উপস্থিতি নিয়ে সঠিকভাবে বলতে পারেননি কেউই।
সত্যিই কি এলিয়েন রয়েছে?
সাম্প্রতিক সময়ে এলিয়েন নিয়ে সবচেয়ে ব্যাপক আকারে গবেষণা চালাচ্ছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা (National Aeronautics and Space Administration)। এমনকি, এই গবেষণার সূত্র ধরে মহাকাশে সাংকেতিক বার্তাও পাঠানো হচ্ছে।
যদিও, এই বার্তা পাঠানো নিয়ে মতানৈক্য দেখা গিয়েছে বিজ্ঞানীমহলে। মূলত, আমাদের গ্রহ ছেড়ে বিশাল মহাকাশে এই বার্তা ছড়িয়ে পড়লে গবেষণায় নতুন তথ্য জানার চেয়ে উল্টে বিপত্তি ঘটবে বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীদের একাংশ। ইতিমধ্যেই “বেকন ইন দ্য গ্যালাক্সি” নামের বার্তা মহাকাশে পাঠিয়ে দিয়েছে নাসা।
এই প্রসঙ্গে অক্সফোর্ডের ফিউচার অব হিউম্যানিটি ইনস্টিটিউটের সিনিয়র বিজ্ঞানী অ্যান্ডার্স স্যান্ডবার্গ জানিয়েছেন, মহাকাশে এরকম বার্তা পাঠানোতে বাড়তে পারে পৃথিবীর বিপদ। পাশাপাশি, বিজ্ঞানীদের একাংশ আশঙ্কা করছেন যে, আমাদের সৌরজগতের বাইরে যদি সত্যিই কোনও জগৎ থেকে থাকে, তাহলে সেখানকার প্রাণীরা পৃথিবী থেকে পাঠানো এই বার্তার সূত্র ধরে খোঁজ পেয়ে যেতে পারে আমাদের গ্রহটির!
এমতাবস্থায়, পৃথিবীর অস্তিত্ব অন্য গ্রহের প্রাণীরা জেনে গেলে সেটা আদৌ পৃথিবীর পক্ষে ভালো হবে না। কারণ, যদি ভিন গ্রহের প্রাণী বা এলিয়েনেরা পৃথিবীতে আক্রমণ করে বসে, তাহলে সে একটা ভয়ানক ব্যাপার হয়ে যাবে। আর এই কারণেই সংশয় প্রকাশ করছেন সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীরা।