ফাইন দিতে নিয়ে এলেন ছেলের পিগি ব্যাঙ্ক, দেখে মন গলে গেল পুলিশের, নিজের পকেট থেকেই দিলেন জরিমানা

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ হাতে শুধু শক্ত লাঠি নয়, তাঁদের যে একটা নরম হৃদয় আছে, তা প্রমাণ করে দিলেন সীতাবুলদি ট্রাফিক জোনের সিনিয়র পুলিশ ইন্সপেক্টর অজয় ​​মালভিয়া। পুলিশের চাকরী করলেও, তাঁর যে একটা সুন্দর নরম মন রয়েছে, তা প্রমাণ করে দিলেন তিনি। এক গরীব অটোওয়ালার দিকে বাড়িয়ে দিলেন বন্ধুত্বপূর্ণ সাহায্যের হাত।

এমনই এক ঘটনা স্যোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করল লাগপুর সিটি পুলিশ। ঘটনাটা হল, নো পার্কিং জোনে অটো দাঁড় করানোর জন্য গত ৮ ই আগস্ট রোহিত নামে এক অটোওয়ালাকে ২০০০ টাকা জরিমানার চালান কেটে দেয় ট্রাফিক পুলিশ। সঙ্গে তাঁর একমাত্র সম্বল অটোটাও বাজেয়াপ্ত করে নেয়।

এই অটোই ছিল রোহিতের একমাত্র আয়ের পথ। দারিদ্রতার সঙ্গে লড়াই করে, এই অটো চালিয়েই কোনরকমে সংসার চালাতেন রোহিত। কিন্তু এই লকডাউন যেন তাঁর দারিদ্রতাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। ঋণের জালে জর্জরিত রোহিতের দশা আরও সংকীণ হয়ে পড়ে। আর এই অবস্থায় ২০০০ টাকা ফাইনের বোঝা মাথায় পড়ায়, মানসিকভাবে আরও ভেঙে পড়েন তিনি।

এমন সময় ছেলের অনুরোধেই ছোট্ট ছেলেটার পিগি ব্যাঙ্ক থানায় নিয়ে যান রোহিত এবং তাতে জমানো কয়েন থেকেই ফাইনের অর্থ মিটিয়ে নেওয়ার অনুরোধ করেন। রোহিতের এই করুন আর্তি, পাথরের মত কঠিন সিনিয়র পুলিশ ইন্সপেক্টর অজয় ​​মালভিয়ার কোমল হৃদয়টা স্পর্শ করে যায়। এগিয়ে এসে রোহিতের ফাইনের টাকা মিটিয়ে দিয়ে, তাঁর নামের চালান ভরে দেন তিনি। সঙ্গে ট্রাফিক আইন মান্য করার নির্দেশও দেন।

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর