টালিগঞ্জ থেকে এক্সাইড মোড় পর্যন্ত রাস্তার দু’পাশের রেলিংয়ে ছেয়ে গিয়েছে শোভন চট্টোপাধ্যায়। গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে ঝুলছে কলকাতার প্রাক্তন মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রীর বিরাট ছবি-সহ ব্যানার। কারন সামনে পুরভোট। আর যেই দলের হয়ে তিনি দাড়াতে চলেছে তা হল পদ্মফুলের প্রতীক, অর্থাৎ বিজেপি। গড়িয়াহাট থেকে গোলপার্ক হয়ে সাদার্ন অ্যাভিনিউ পর্যন্ত সব মিলিয়ে শ’দেড়েক ছবি।
আর সেই সব ব্যানারে বার্তা দেওয়া হয়েছে, ‘‘কলকাতার বেহাল দশাকে পুনরায় স্বমহিমায় ফিরিয়ে আনতে আপনি এগিয়ে আসুন শোভনদা।’’ কোনওটিতে আবার বলা হয়েছে, ‘‘অসম্পূর্ণ কলকাতার পৌরসভাকে পুনরায় স্বমহিমায় আনতে ফিরে আসুন শোভনদা।’’ বেশ কিছুদিন ধরেই জল্পনা কল্পনা ছিলো । আর তার মধ্যে একটা দোটানাও চলছিলো । যে কোন দলের হয়ে দাড়াবেন শোভন ।
সব জল্পনার অবসান হাটিয়ে এবার সেই পথ প্রশস্ত করে দাড়িয়েছে শোভন চট্টোপাধ্যায়। আর সেই স্বপ্ন সত্যি করে এবার পুরভোটে দাড়াতে চলেছে শোভন। কয়েক বছর ধরে নানা কারণে তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছিল তাঁর। আর এরপরে সব অপেক্ষার অবসান করে অবশেষে ২০১৯-এর ১৪ অগস্ট আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজেপিতে যোগ দেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। এর আগে কলকাতার মহানাগরিক হিসেবে অনেক কাজ সামলেছেন । বলতে গেলে নয় নয় করে প্রায় সাড়ে আট বছর। আর এই নিয়ে নতুন করে বিতর্কে জড়িয়েছেন তিনি। বৈশাখিকে নিয়ে নানা মন্তব্যের শিকার হতে হয়েছে তাকে ।
স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যাইয়ের সাথে ভেঙ্গেছে সংসার। রিতিমতো বাড়ি ঘর ছেরে , রাজনীতি ছেড়ে তিনি বহু দূর চলে গেছিলেন । কিনু আরেক বার ফিরে এসেছেন এই ময়দানে । তবে পুরভোটে শোভনের ঠিক কী ধরনের ভূমিকা হতে চলেছে তা এখনো জানা যায়নি। বিজেপি বা কি চাইছে ,আর শোভনই বা কী বলছেন, দুই তরফ থেকেই কোনও বিশদ তথ্য এখনও জানানো হয়নি । কিন্তু ফলফল কি হবে সেই নিয়ে সংশয়ে আছে বিজেপি।