বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বাংলায় তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর নির্দেশে আজ থেকেই শুরু হয়েছে ‘দুয়ারে সরকার’ (duare sarkar) ক্যাম্প। আর প্রথম দিনেই ধুন্ধুমার বেঁধে গেল বর্ধমানে (bardhaman)। কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিল বর্ধমানের টাউনহল। অভিযোগ উঠেছে, লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের মারধর করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে রাজ্য সরকারের দুয়ারে সরকার প্রকল্প ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল। এবারেও ক্ষমতায় আসার পর সেই দুয়ারে সরকার প্রকল্প আবারও চালু করার কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে এই প্রকল্পে একটি নতুন সংযোজন হয়েছে ‘লক্ষ্মী ভাণ্ডার প্রকল্প’। মহিলারা এই দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের মাধ্যমেই ‘লক্ষ্মী ভাণ্ডার প্রকল্প’-র ফর্ম তুলে জমা দিতে পারবেন বলে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এই ক্যাম্প চলবে ১৬ ই আগস্ট থেকে ১৫ ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
গতবারে এই ক্যাম্পের সময় বেশকিছু মানুষ স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পাননি। তাই জানানো হয়েছিল, এবারের এই ক্যাম্পের মাধ্যমে তাঁদের সেই কার্ড দেওয়া হবে। সেইমত সোমবার বর্ধমানের টাউন হলে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প থেকে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পাওয়ার জন্য ভোররাত থেকেই লম্বা লাইন পড়ে যায়। আর বেলা গড়াতেই এই লাইনকে কেন্দ্র করে বচসা থেকে হাতাহাতিতে গড়ায়।
রাহুল মণ্ডল নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা অভিযোগ করেছেন, তাঁর দিদা রাধা মণ্ডল লাইনে দাঁড়ানো অবস্থায় তাঁকে কিছু মানুষ বেলাইনে এসে বাইরে বার করে দেয়। বাঁধা দিতে গেলে, তাঁকে গালিগালাজ করে তাঁর মাথায় হেলমেট দিয়ে আঘাত করার অভিযোগ ওঠে। আবার অপ্সরা গুপ্ত অভিযোগ জানিয়েছেন, বৃদ্ধ শ্বশুর থেকে শুরু করে তাঁর স্বামী, ছেলে, এমনকি তাঁকেও বাদ দেওয়া হয়নি। সকলকেই মারধর করা হয়েছে।
ঘটনার বিষয়ে বর্ধমান পুরসভার কার্যনির্বাহী আধিকারিক অমিত গুহ জানান, ‘ভেতরে স্থ্যসাথী কার্ডের ছবি তোলার কাজ হওয়ার কারণে, বাইরের ঘটনা সম্পর্কে কিছু জানতে পারিনি’। তবে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় বর্ধমান থানার পুলিশ। তারপর পরিস্থিতি সামাল দিয়ে আবারও স্বাস্থ্যসাথী কার্ড বন্টনের কাজ শুরু হয়। তবে দুপক্ষই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।