বাংলা হান্ট ডেস্ক: চাকরি পাওয়ার জন্য সমস্ত যোগ্যতাই ছিল তাঁর। এমনকি, শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই সফলতা লাভ করেছিলেন তিনি। সসম্মানে উত্তীর্ন হয়ে পাশ করেছিলেন ইন্টারভিউতেও। কিন্তু, তাও ভাগ্যের করুণ পরিহাসে প্রাপ্য চাকরি থেকে বঞ্চিত থাকতে হয় তাঁকে। শুধু তাই নয়, জীবনের অনেকটা সময় কেটে গেলেও তিনি হাতে পাননি নিয়োগপত্র।
এমতাবস্থায়, তাঁর সঙ্গী ছিল শুধুই অপেক্ষা। যদিও, পেটের জ্বালায় শেষমেশ ভিক্ষার পাত্র হাতে তুলে নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, হঠাৎই এল সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। ৫৭ বছর বয়সে চাকরির নিয়োগপত্র হাতে পেলেন তিনি। আর যা এখনও অবিশ্বাস্য কেদারেশ্বর রাওয়ের কাছে। হ্যাঁ, বর্তমান প্রতিবেদনে আমরা কেদারেশ্বরের প্রসঙ্গই উপস্থাপিত করব। যিনি শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় সসম্মানে উত্তীর্ণ হয়েও পেটের দায়ে করেছেন ভিক্ষে!
জানা গিয়েছে, অন্ধ্রপ্রদেশের পাথাপত্তনমের পেড্ডা সিধি এলাকার বাসিন্দা কেদারেশ্বরের স্বপ্ন ছিল শিক্ষক হওয়ার। আর সেই স্বপ্নপূরণের জন্যই চেষ্টার কোনো খামতি রাখেননি তিনি। এমনকি, ৩৩ বছর বয়সে চাকরির পরীক্ষায় পাশও করেছিলেন কেদারেশ্বর। কিন্তু, আইনি জটিলতায় আটকে গিয়েছিল তাঁর নিয়োগ। আর সেইজন্যই চাকরি পেয়েও কার্যত “হাতছাড়া” হয়ে যায় তা।
এমতাবস্থায়, বেকারত্বের যন্ত্রণাকে সঙ্গে নিয়েই একটার পর একটা বছর কাটতে থাকে তাঁর। এমনকি, দেখতে দেখতে পেরিয়ে যায় তাঁর যৌবনও। একটা সময়ে ভিক্ষার পথকে বেছে নিয়েছিলেন তিনি। যদিও, দীর্ঘ ২৪ বছর পরে তাঁর সাথে ঘটে গেল এক মিরাকল। শুধু তাই নয়, ৫৭ বছর বয়সেই তিনি পেলেন তাঁর বহুকাঙ্ক্ষিত সেই নিয়োগপত্র।
যার ফলে চাকরি করতে আর কোনো বাধা রইলনা তাঁর কাছে। দীর্ঘ অপেক্ষা এবং জীবনযুদ্ধের কঠিন লড়াই সামলে তিনি কার্যত এক হাতে ভিক্ষার থালা আর অন্য হাতে নিয়োগপত্রটিকে নিয়ে কেঁদে ফেলেছিলেন। আর এভাবেই এক লহমায় পাল্টে গেল তাঁর পরিচিতিও। এবার পড়ুয়াদের কাছে তিনি শিক্ষকরূপে অবতীর্ণ হয়ে ছড়িয়ে দেবেন জ্ঞানের আলো। এখন তারই জোরকদমে প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি।