বাংলাহান্ট ডেস্কঃ রামায়ণ (Ramayana), রাম-সীতা আর রাবণের কাহিনী। আমরা ছোট থেকেই সকলে এই রামায়ণের সীতা হরণের কাহিনীর সাথে পরিচিত। মা, ঠাকুমা হোক কিংবা বইয়ে গল্পাকারে, আবার বোকাবাস্কের পর্দায় কার্টুন চরিত্র হোক অথবা মানুষের অভিনয়, সকলের স্মৃতিপটেই উজ্জ্বল রাবণ বধের কাহিনী। এই গোটা সাত কান্ড রামায়ণ যে নারীর অন্যতম পছন্দের পোশাক শাড়িতেও সুন্দর করে ফুটিয়ে তোলা যায়, তা প্রমাণ করে দিল বাংলার ফুলিয়ার (Phulia) তাঁতশিল্পীরা।
শাড়িতে রামায়ণ
সূক্ষ্ম সুতোর কাজে গোটা শাড়িতেই ফুটে উঠেছে কৃত্তিবাসী রামায়ণের বিভিন্ন চিত্র। সোনার হরিণ ধরার চিত্র থেকে শুরু করে রাবণ বধের পর মাতা সীতাকে নিয়ে অযোধ্যায় সিংহাসন লাভ, সবকিছুই রয়েছে এক শাড়িতেই। বইয়ের পাতার এই কাহিনী যেন জীবন্ত হয়ে উঠেছে এক শাড়িতে। তবে এই কাজ কিছু একেবারে সহজ কথা নয়। অত্যন্ত দক্ষতা ছাড়া, কখনই এমন কাজ সম্ভব নয়।
ফুলিয়ার শিল্পীদের অসাধারণ প্রতিভা
নদীয়ার ফুলিয়ার তাঁতশিল্পীদের জগত জোড়া নাম। মহিলাদের পছন্দের তালিকায় যেমন রয়েছে বেনারসি, বালুচুরি, বুটিক, জামদানি, তেমনই রয়েছে এই নদীয়ার ফুলিয়ার তাঁতও। কৃত্তিবাস ওঝার জন্মস্থানের পাশাপাশি বাংলার তাঁতের শাড়ির আঁতুরঘর মানেই হল গঙ্গার ধারের ফুলিয়া। আর সেখানকারই রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত তাঁত শিল্পী বীরেন কুমার বসাক এবং তাঁর সহযোগী হিসাবে দক্ষ তাঁতশিল্পীরা এই অসাধারণ কাজটি সম্পন্ন করেছেন।
রয়েছে রংবেরঙের সুতো সূক্ষ্ম সুতোর কাজ
এই শাড়ি দেখার দিক থেকে যেমন আকর্ষণীয়, তেমনই দামের দিক থেকেও আকাশ ছোঁয়া। এমনিতেই হাতের কাজের দাম আছে, আর তাঁর উপর গোটা শাড়িতেই রয়েছে রংবেরঙের সুতো সূক্ষ্ম সুতোর কাজ। অত্যন্ত নিপুণতা এবং দক্ষতার সাথে সমস্তটাই ফুটিয়ে তুলেছেন বাংলার ফুলিয়ার তাঁতশিল্পীরা।
জেনে নিন এই শাড়ির মূল্য
গোটা শাড়িটা তৈরি করতে সময় লেগেছে ১ বছরের বেশি। তবে এই মহামূল্যমান শাড়ির যা বর্ণনা শুনলেন, তাতে করে এর দাম একটু আকাশ ছোঁয়া তো হবেই। এক লক্ষ আশি হাজার টাকা ধরা হয়েছে এই শাড়ি বুননের মজুরি। তাহলেই ভাবুন, এই শাড়ির বাজার দর কত হতে পারে? এই অসাধারণ শাড়িটির মূল্য ধার্য করা হয়েছে দাম আড়াই লক্ষ টাকা।