বাংলাহান্ট ডেস্কঃ স্ত্রীকে বাঁচাতে সাইকেল (Cycle) করে বাড়ি ফিরছিলেন স্বামী, কিন্তু মাঝ রাস্তায় আটকাল পুলিশ। কারফিউ পাস থাকলেও, তা দেখতে চান না পুলিশ কর্তা। সীমান্ত এলাকা থেকে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয় স্বামী মনোজ কুমার। বাড়ি পৌছাতে না পেরে স্ত্রীর মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে ভেঙ্গে পড়েন স্বামী।
করোনা ভাইরাসের (COVID-19) জেরে চারিদিকে জারী করা হয়েছে লকডাউন অবস্থা। এই সময় সমস্ত নাগরিকদের ঘরে থাকার অনুরোধ করেছে সরকার। শুধুমাত্র জরুরী প্রয়োজন ব্যতীত কাউকেই ঘর থেকে বেরতে নিষেধ করা হয়েছে। কিন্তু এরই মধ্যে স্ত্রীর শারীরিক অসুস্থতার খবর পেয়ে অনলাইন কারফিউ পাসের জন্য আবেদিন জানায় মনোজ কুমার। তিনবারের চেষ্টায় সেই পাস কনফার্ম হওয়ার পর সাইকেল করে যাত্রা শুরু করলেও, উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) সীমান্ত এলাকা থেকে পুলিশ তাঁকে ফেরত পাঠিয়ে দেন।
উত্তরপ্রদেশের মুন্ডিরি মহারাজগঞ্জ, চন্দ্রিকা, মাজোয়া, গ্রামের বাসিন্দা কাজের সূত্রে পাঞ্জাবের মণ্ডি গোবিন্দগড়ের শান্তি নগরে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। প্রতিদিনের অন্ন সংস্থানের জন্য গোবিন্দগড় মান্ডির একটি মিলে কাজ করতেন। করোনা ভাইরাসের কারণে লকডাউন জারী হওয়ায় সেখানেই আটকে যান তিনি। কিন্তু এরই মধ্যে খবর আসে তাঁর স্ত্রী সাঙ্ঘাতিক অসুস্থ।
স্ত্রীর ফোন পাওয়া মাত্রই তিনি পাঞ্জাবের অনলাইন কারফিউ পাসের জন্য আবেদন করেছিলেন। পরপর তিন বার সেই পাস বাতিল হওয়ার পর কনফার্ম হলে তিনি পাস নিয়ে যাত্রা শুরু করেন। লকডাউনের কারণে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় ২২ শে এপ্রিল সন্ধ্যা থেকেই তিনি সাইকেল নিয়েই যাত্রা শুরু করেন।
এই চাদফাটা রোদের মধ্যে সাইলেক চালিয়ে দ্বিতীয় দিন হরিয়ানা-ইউপি সীমান্তের ছোট খাল থেকে বেরিয়ে সাহারানপুরের সিজার গেট নাকে পৌছান। কিন্তু সেখানে ছিল পুলিশি পাহারা। তখন তিনি তাঁর পাসটি বের করে পুলিশকে দেখাতে যান। ২৪ সে এপ্রিল অবধি যাত্রার সময় নির্ধারন করা পাশে ডিসির স্বাক্ষরও করা ছিল। কিন্তু পুলিশ তাঁর সেই পাস না দেখেই তাঁকে সীমান্ত এলাকা থেকে ফিরিয়ে দেন। অগত্যা না যেতে পেরে ফিরে এসে স্ত্রীর মৃত্যু সংবাদ পেয়ে তিনি ভেঙ্গে পড়েন।