বাংলাহান্ট ডেস্কঃ চীন (China) যতই দাদাগিরি দেখাক না কেন, ভারতের (India) সামনে কোন কিছুতেই এঁটে উঠতে পারবে না। সীমান্ত এলাকায় দেখাতে থাকা জোরজুলুম আর খাটবে না। ভারত দিতে চলেছে এবার পাল্টা প্রতিঘাত। সফল করতে চলেছে ‘ভোকাল ফর লোকাল’ মিশন।
চীনা পণ্য বয়কটের দাবিতে বহু দিন ধরেই চাপা বিক্ষোভ জারী ছিল ভারতে। এবার তা যথাযথভাবে পূর্ণতা পেতে চলেছে। আগামী ১০ ই জুন থেকে শুরু হতে চলেছে চীন বিরোধী প্রচার।
১০ ই জুন নেওয়া হবে বড় পদক্ষেপ
চীনের কার্যকলাপের উপর ভিত্তি করে ভারতবাসী বিগত বেশ কিছু দিন ধরেই চীনের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে রয়েছে। এই উত্তপ্ত পতিস্থিতিতে ভারতের নাগরিক চীনা পণ্য বর্জনে উম্নুখ হয়ে রয়েছে। কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্সের পক্ষ থেকে আগামী ১০ ই জুন নিতে চলেছে এক বড় পদক্ষেপ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) আত্মনির্ভর ভারত প্রচেষ্টাকে বাস্তবে রূপ দিতে, চীন পণ্য বর্জন করে ‘ভোকাল ফর লোকাল’-এর গতি বৃদ্ধি করতে চলেছে। যার ফলে চীন একটি বড় ধাক্কার সম্মুখীন হতে চলেছে।
চীন মুক্ত ভারতের লক্ষ্যে
করোনা ভাইরাসের আবির্ভাবের পূর্বে ভারতের বাজার ছিল চীনের কাছে এক বৃহৎ ব্যবসা কেন্দ্র। কিন্তু মহামারি করোনা ভাইরাস চীন থেকে ছড়ানো এবং পরবর্তীতে ভারত সীমান্তে চীনের সেনার অবাঞ্ছিত প্রবেশ বিরক্ত হয়ে উঠেছে ভারতবাসী। তারা এবার চায় চীন মুক্ত ভারত গড়ে তুলতে। তাই এবার চীনা দ্রব্য বর্জন করে দেশীয় পণ্যের প্রতি নিজর দিচ্ছে তারা। এই ঘটনার জেরে নিঃসন্দেহে চীনের ব্যবসায়িক দিক একটি বড় ক্ষতির মুখোমুখি হতে চলেছে।
CITA জারী করল এক নির্দেশিকা
এই বিষয়ে সিএআইটি জানিয়েছে , আগামী ২০২১ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে চীন দ্রব্য বর্জনের বিষয়ে একটি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। যাতে করে ২০২১ সালের মধ্যে ভারতকে প্রায় ১.৫ কোটি টাকার পণ্য চীন থেকে আমদানী বন্ধ করতে হবে।
বাতিলের তালিকাভুক্ত করা হল প্রায় ৩ হাজার চাইনিজ প্রোডাক্ট
সিএআইটি চীন থেকে আগত প্রায় ৩ হাজার জিনিসের একটি তালিকা প্রস্তুত করেছে। এই তালিকাভুক্ত পণ্য চীন থেকে আমদানী করা হবে না। আর এর জন্য ভারতের বাজারে এর কোন বিশেষ প্রভাবও পড়বে না। এর মধ্যে বেশিরভাগ পণ্যই এখন ভারতে উৎপাদিত হচ্ছে।
সফল করতে হবে ‘ভোকাল ফর লোকাল’ মিশন
সিএআইটি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করা হবে চাইনিজ দ্রব্যের ক্রয় বন্ধ করে দেশীয় দ্রব্যের ব্যবসা করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর ‘ভোকাল ফর লোকাল’ মিশনকে সফল করতে হবে। তবে পাশাপাশি তারা আরও জনায়, ভারতের বাজারে যেহারে চীনা দ্রব্য ছেয়ে গেছে, মানুষ যেভাবে তার সাথে জড়িয়ে রয়েছে, তাতে করে চীনা পণ্য বর্জন করতে এখনও কিছুটা সময় লাগবে।