বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা সংক্রমণের আক্রান্ত দিল্লীর (Delhi) এক বিজেপি (BJP) নেতার অবস্থা আশঙ্কা জনক। তিনি সাফদারজং হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। সম্প্রতি তাঁর পিতাও করোনার প্রকোপে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন এবং তাঁর মা ভাইও করোনায় (COVID-19) আক্রান্ত হয়েছেন। তারা বর্মান সময়ে কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন।
মীরাটের বিজপি নেতার অবস্থার অবন্নতির কারণে তাঁকে সাফদারজং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়
মীরাটের সাবান গুদামে অবস্থানরত বিজেপি নেতা বিভংশু বশিষ্ঠকে শারীরিক অবস্থার অবন্নতির কারণে বৃহস্পতিবার রাতে দিল্লির সাফদারজং হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। তাঁর অন্ত্রে সংক্রমণনেদেখা দিয়েছে এবং প্রচুর তাঁর ওজনও আগের তুলনায় অনেক বেড়ে গিয়েছে। তার বাবা করোনায় মারা যাওয়ার পর তার ভাই এবং তার মাও করোনায় আক্রান্ত হন।
দিল্লীর ট্র্যাফিক পুলিশ কর্তারও করোনা রিপোর্ট পজেটিভ আসে
দিল্লীর সঙ্গম বিহার সার্কেলে কর্মরত ট্রাফিক পরিদর্শকের করোনার রিপোর্ট ইতিবাচক আসায়, তাঁর সংস্পর্শের সকলকে বর্তমানে কোয়ারেণ্টিনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দিল্লীতে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা
দিল্লীতে ক্রমাগত বেড়েই চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। বৃহস্পতিবার নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৪৪৮ জন মানুষ, যা এখনও অবধি গত ২৪ ঘণ্টায় সবথেকে বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৯৮০ জন।
ক্রমবর্ধমান করোনা সংক্রমণের মধ্যেও দিল্লীতে রমরমিয়ে চলছে মদ কেনা বেচা
লকডাউনের তৃতীয় দফায় মদের দোকান খোলার লাইসেন্স মিলতেই মদের দোকানের বাইরে দেখা গিয়েছিল লম্বা লাইন। সেই ঘটনা দিল্লীতেও দেখা গিয়েছিল। দিল্লির বসন্ত বিহারে একটি মদ্য পানীয়ের দোকানে বাইরে মানুষজন হেলমেট, বোতল, ব্যাগ এবং বস্তা ইত্যাদি দিয়ে তাদের জায়গা রাখতে দেখা গিয়েছে। দোকানের বাইরে উপছে ভড়া সামলাতে বর্তমানে সরকার ই-টোকেন জারি করেছে।
এ বিষয়ে একজন মদ ক্রেতা জানান, ‘আমি ভোর ৫ টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। কিন্তু এখন পুলিশ বলছে চলে যেতে। তাহলে আমাদের যাদের কাছে স্মার্ট ফোন নেই, তারা কি মদ কিনতে পারবে না? বা যারা বেশি পড়াশুনা শেখেননি, তারা কিভাবে মদ কিনবেন? এই বিষয়ে সরকারকে ভাবতে হবে’।