বাংলাহান্ট ডেস্কঃ কথায় আছে ‘আশায় মরে চাষা’। কথাটাই যেন সত্যটি হল। আশায় বুক বেধেছিলেন বাংলাদেশের (Bangladesh) কক্সবাজার পৌর এলাকার বাসিন্দারা। সেতু নির্মাণ হলে তাঁদের বহুদিনের সমস্যার সমাধান হত। কিন্তু সমস্যা রয়েই গেল। উদ্বোধনের জন্য তৈরি ছিল সেতু। কাজও শেষ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সেই আস্ত সেতু বৃষ্টির জলে ধুয়ে চলে গেল।
দু’দিনের বৃষ্টির জলে আস্ত একখানা সেতু ভেসে গেল। স্থানীয় বাসিন্দারা অবাক। কতটা নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে সেতু নির্মাণ করলে এমন ঘটনা ঘটতে পারে!
স্থানীয়দের মতে, ‘শাপে বর’ হয়েছে। স্থানীয়রা নিয়তিকে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন। কারণ, সেতু নির্মাণের পর ভেঙে পড়লে বহু মানুষের প্রাণহানি হতে পারত। তার থেকে আগেই ভেঙে পড়ে ভাল হয়েছে।
কক্সবাজারের পৌর এলাকায় থাকা সেতুটি উদ্বোধনের জন্য তৈরি বলে জানিয়েছিল প্রশাসন। কিন্তু দুদিনের বৃষ্টি সহ্য করতে পারল না সেই সেতু। কুতুব বাজার এলাকার সেই ব্রিজ প্রবল শব্দ করে ভেঙে পড়ে। ব্রিজের অর্ধেক অংশ ভেসে চলে গিয়েছে। বাকি অর্ধেক ভেঙে পড়ে রয়েছে। স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, ওই ব্রিজ নির্মাণের সময় তারা কখনও রডের ব্যবহার হতে দেখেননি। শুধুই নাকি বালি, সিমেন্ট ব্যবহার করে কোনওমতে সেতুটি দাঁড় করানো হয়েছিল।
ভেঙে যাওয়া ব্রিজটি থেকে ৪০ ফুট দূরে আরও একটি সেতু নির্মাণের কাজ চলছে। সেটি একটি জাপানি সংস্থা নির্মাণ করছে। সেই সেতুটি অক্ষত অবস্থায় রয়েছে। ভেঙে পড়া সেতুর নির্মাণের দায়িত্ব ছিল স্থানীয় এক কাউন্সিলেরর উপর। সেতু ভেঙে পড়ার পর আক্তার কামাল আজাদ নামের সেই কাউন্সিলর দায়িত্ব অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, ব্রিজের গোড়ায় যাতে সমুদ্রের জল দাঁড়াতে না পারে তাই একটি বাঁধ দেওয়া হয়েছিল। প্রবল বৃষ্টিতে বাধ ভেঙে যায়। এর পর জলের স্রোতে সেতুটি ভেঙে পড়ে।