করোনা ভাইরাসের সংক্রমকের উপায় খুঁজতে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কথা বললেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা ভাইরাসের (Corona Vairas) হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সমগ্র বিশ্ব চিন্তিত। কি ভাবে এই ভাইরাসের সংক্রমক থেকে নিস্তার পাওয়া যায় সেই দিকে তাকিয়ে গোটা বিশ্ব। মহামারির আকার ধারণ করা এই রোগকে WHO এই রোগকে মহামারি বলে ঘোষণা করেছে। এই পরিস্থিতিতে কিভাবে বিশ্বাসীকে রক্ষা করা যায়, সেইজন্য ভারতের (India) প্রধানমন্ত্রী নরন্দ্র মোদীকে (Narendra Modi) ফোন করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বোরিস জনসন (Boris Johnson)।

modi 34

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বোরিস জনসন এই রোগের বিষয়ে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে আলোচনা করেন। এবং কিভাবে এই রোগ প্রতিরোধ করা যায়, সে নিয়েও আলোচনা করেন। এই বিষয়টি সম্পর্কে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী আবাস এবং কার্যালয় ড্রাউনিং স্ট্রীটের প্রবক্তা দেশবাসীকে জানান এই বিষয়ে জানান। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ভারত এবং ব্রিটেন সম্পর্ক আরও মজবুত করে তোলার লক্ষ্যে তাঁরা এগোচ্ছে। দুই নেতা এই বিষয়ে সহমত পোষণ করেছেন যে লক্ষ্য পূরণের জন্য একটা পরিকল্পনা তৈরি করা হবে।

ব্রিটেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী এণ্ডোরিস করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এই খবর পেয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী দুঃখপ্রকাশ করেছেন। এবং তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনাও করেছেন। দুই দেশের নেতাই জলবায়ু পরিবর্তনের উপর বেশি গুরুত্ব দেয়। ভারতে করোনা ভাইরাসের মোকাবিলা করার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী জোরকদমে লেগে পড়েছে। ১৫ ই এপ্রিল পর্যন্ত বিদেশের ভিসা বাতিল করা হয়েছে।

corona 1

ব্রিটেনও এই রোগের প্রতিরোধের বিষয়ে দ্রুত গতিতে কাজ করে চলেছে। সকলেই গ্রীষ্মকালের জন্য অপেক্ষা করছে। সেই কারণে স্কুল, কলেজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। ব্রিটেনের কার্যালয় থেকে জানা যায়, শুধুমাত্র করোনা মোকাবিলা নয়, দুই দেশ নিজেদের মধ্যে ব্যবসায়িক দিক থেকেও সম্পর্ক মজবুত করার চেষ্টায় রয়েছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর প্রবক্তা বলেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরন্দ্র মোদীকে এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বোরিস জনসন দুই দেশের ব্যবসা, সাংস্কৃতিক বিষয়, সুরক্ষা এবং প্রগতির জন্য সম্পর্ক মজবুত করার বিষয়েও আলোচনা করেন’। এর আগেও ইজরায়েলের (Israel) প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতিন ইয়াহুও নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে করোনা ভাইরাসের বিষয়ে আলোচনা করেন।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর