“হাঁ” করে তাকিয়ে দেখবে গোটা বিশ্ব! সমুদ্রের নিচে ২৫০ কিমি বেগে ছুটবে বুলেট ট্রেন, কতদূর এগোল কাজ?

বাংলা হান্ট ডেস্ক: গুজরাটের পর এবার মহারাষ্ট্রে মুম্বাই ও আহমেদাবাদের মধ্যে শুরু হতে চলা বুলেট ট্রেন (Bullet Train) পরিষেবার কাজ জোরকদমে চলছে। শনিবার কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব মুম্বইতে বুলেট ট্রেনের কাজ পরিদর্শন করেন। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এইদিন বৈষ্ণব সমুদ্রের তলদেশের টানেলের কাজ পরিদর্শন করেন।

সমুদ্রের তলা দিয়ে ছুটবে বুলেট ট্রেন (Bullet Train):

সমগ্র কাজ খতিয়ে দেখে তিনি বলেন, কাজের অগ্রগতি বেশ ভালো। রেলমন্ত্রী আরও জানান যে, এই টানেলে ঘণ্টায় ২৫০ কিলোমিটার বেগে বুলেট ট্রেন (Bullet Train) চলবে। জানিয়ে রাখি যে, মুম্বাই-আহমেদাবাদ বুলেট ট্রেন করিডোরের মোট দৈর্ঘ্য ৫০৮.০৯ কিলোমিটার। গুজরাটে বুলেট ট্রেনের ট্রায়াল ২০২৬ সালে সুরাত-বিলিমোরার মধ্যে শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে.

কী জানালেন রেলমন্ত্রী: মুম্বইযতে বুলেট ট্রেনের (Bullet Train) কাজ পরিদর্শনকালে রেলমন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময়ে বলেন, “কলকাতায় যেমন আন্ডার রিভার টানেল দেখেছেন একইভাবে, এটি দেশের প্রথম সমুদ্রের তলদেশের টানেল। রেলমন্ত্রী জানান, এই টানেলে বুলেট ট্রেন (Bullet Train) একই সঙ্গে দুই ট্র্যাকে ঘণ্টায় ২৫০ কিলোমিটার বেগে চলবে। ওই টানেলটি ওইভাবেই ডিজাইন করা হয়েছে। রেলমন্ত্রী বলেন, টানেলে একটি বুলেট ট্রেন থাকলে তা আরও বেশি গতিতে চলতে পারে।

The bullet train will run under the sea at a speed of 250 kmph.

বুলেট ট্রেন টানেলের অগ্রগতি: বুলেট ট্রেন (Bullet Train) প্রকল্পের জন্য মহারাষ্ট্রে ২১ কিলোমিটার দীর্ঘ টানেল নির্মাণের কাজ চলছে। যার মধ্যে ভারতের প্রথম ৭ কিলোমিটার দীর্ঘ সমুদ্রের তলদেশের টানেল রয়েছে। ভারতের প্রথম ভূগর্ভস্থ/সমুদ্র সুড়ঙ্গ (২১ কিলোমিটার দীর্ঘ) ভূগর্ভস্থ স্টেশন বান্দ্রা-কুরলা কমপ্লেক্স এবং মহারাষ্ট্রের শিলফাটার মধ্যে তৈরি হচ্ছে। ২১ কিলোমিটার টানেল নির্মাণ কাজের মধ্যে ১৬ কিলোমিটার টানেল বোরিং মেশিনের মাধ্যমে এবং বাকি ৫ কিলোমিটার NATM-এর মাধ্যমে করা হচ্ছে। যেটিতে থানে ক্রিক-এ একটি ৭ কিমি সমুদ্রের তলদেশের টানেলও রয়েছে।

আরও পড়ুন: উলটপুরাণ! ভারতের এই বিশেষ সাফল্যে ভূয়সী প্রশংসা চিনের, ব্যাপারটা কি?

কীভাবে তৈরি হচ্ছে এই টানেল: ৩৯৪ মিটার দীর্ঘ ADIT টানেলটি ২০২৪ সালের মে মাসে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে (মাত্র ৬ মাসে)। এদিকে, শিলফাটায় অতিরিক্ত খনন কাজের জন্য দু’টি অতিরিক্ত NATM ফেসের সুবিধা প্রদান করেছে। এর ফলে ১,১১১ মিটার টানেলিং (BKC/N1TM-এর দিকে ১,৫৬২ মিটারের মধ্যে ৬২২ মিটার এবং আহমেদাবাদ/N2TM-এর দিকে ১,৬২৮ মিটারের মধ্যে ৪৮৯ মিটার) সম্পন্ন হয়েছে।

আরও পড়ুন: BCCI-এর নিয়ম অমান্য করছেন কোহলি? খেলবেন না রঞ্জি ট্রফি, কি জানালেন বিরাট?

টানেল আস্তরণের জন্য কাস্টিং ইয়ার্ড: ১৬ কিলোমিটার TBM অংশের জন্য টানেল লাইনিং ঢালাই করার লক্ষ্যে একটি ডেডিকেটেড কাস্টিং ইয়ার্ড ইতিমধ্যেই মহাপেতে চালু আছে। ৭,৭০০ টি রিং তৈরি করতে ৭৭,০০০ টি সেগমেন্ট নিক্ষেপ করা হবে। টানেলের লাইনের জন্য বিশেষ রিং সেকশন ঢালাই করা হচ্ছে। প্রতিটি রিং ৯ টি বাঁকা অংশ এবং একটি বড় অংশ নিয়ে গঠিত। প্রতিটি সেকশন ২ মিটার চওড়া এবং ০.৫ মিটার (৫০০ মিমি) পুরু।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর