বাংলাহান্ট ডেস্ক : দিনের পর দিন ধরে জ্বলছে একটা শহর। নিশ্চয়ই ভাবছেন এমনটা আবার হয় নাকি? প্রাথমিক ভাবে আপনার অবিশ্বাস্য মনে হলেও ভারতের (India) বুকেই রয়েছে এই শহর। কিন্তু প্রশ্ন হল, কীভাবে লাগল আগুন? দীর্ঘদিন চেষ্টার পরেও কেন নেভানো যায়নি? এই প্রতিবেদনে রইল ভারতের জ্বলন্ত শহরের কথা।
ভারতের (India) জ্বলন্ত শহর
শহরটির নাম ঝরিয়া। বাংলার পার্শবর্তী রাজ্য ঝাড়খণ্ডেই (Jharkhand) রয়েছে এই শহর। ভারতের (India) এই শহরের সঙ্গে জড়িয়ে আছে বিস্তৃর্ণ অঞ্চল জুড়ে জ্বলতে থাকা কয়লাখনির ইতিহাস। তবে, আপনাদেরকে জানিয়ে রাখা দরকার যে, মাটির নীচে এই কয়লার আগুন কিন্তু আজকের নয়। আগুন লেগেছিল ১৯১৬ সাল নাগাদ।
আরোও পড়ুন : আজকের রাশিফল ২১ ফেব্রুয়ারি, বাড়ি-গাড়ি কেনার সুযোগ এই চার রাশির
প্রায় ১০৮ বছর পেরিয়েও কিন্তু নেভেনি আগুন।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১৯৩০ সালে ব্রিটিশরা কয়লা তোলার কাজ শুরু করে ঝরিয়ার এই সব কয়লাখনি থেকে। অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে বেশির ভাগ কয়লা তোলার কাজই হত। বিশেষজ্ঞদের মত, এই সব সুড়ঙ্গ দিয়ে অক্সিজেন ঢুকছে। আর অক্সিজেন পেয়ে মাটির ভেতরের কয়লা ধিকধিক জ্বলতে শুরু করছে।
আরোও পড়ুন : পাত্তা পেলনা আমেরিকার হুমকি! ভারত-রাশিয়ার বন্ধুত্বে তৈরি হল নয়া রেকর্ড
এই অগ্নিকাণ্ডের জেরে ঝরিয়ার পুরো এলাকাটাই পরিণত হয়েছে বিপজ্জনক এলাকায়। ঝরিয়ার কয়লা খনিতে (Coal Mine) যে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে সেটা যে শুধুমাত্র ওখানকার খনি শিল্পকেই ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এমনটা নয়, স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবনযাত্রাকেও দুর্বিষহ করে তুলেছে। তাদের স্বাস্থ্যের অবনতি হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে আপনাদের জানিয়ে রাখা দরকার যে, আগুনের শয্যার ওপর দিন কাটালেও এই জায়গা ছেড়ে চলে যেতে চান না বাসিন্দারা। ইতিমধ্যেই ঝরিয়া রিহ্যাবিলিটেশন ডেভলপমেন্ট অথরিটি-র পুর্নবাসন কেন্দ্র তৈরি হয়েছে ঝরিয়ার বেনেগারিয়াতে। বেশ কয়েকটি ঘর তৈরি হলেও কর্মস্থল থেকে ওই পুর্নবাসনকেন্দ্র অনেক দূর বলে অধিকাংশ মানুষের যেতে অনীহা রয়েছে।