বাংলাহান্ট ডেস্কঃ প্রস্রাব (toilet) করতে নেমে খোয়ালেন গাড়ি (car)! কাজের পরে পার্টি সেরে, গাড়ি চালিয়ে, বাড়ি ফিরছিলেন ঋষভ অরোরা (Rishabh Aurora)। পেশায় স্টক ব্রোকার যুবকের মন সেদিন ভালই ছিল মনের মতো পানাহারের শেষে। হু হু করে ছুটছিল বিএমডব্লিউ। তাঁর নিজের নয় অবশ্য, শ্যালকের কাছ থেকে নিয়ে আসা। ৯০ নম্বর সেক্টর দিয়ে ফেরার সময়ে, প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গাড়ি থামাতে হয় তাঁকে। সুনসান অন্ধকার রাস্তা, কেউ কোথাও নেই। ঋষভ ভেবেছিলেন, টুক করে গাড়ি থেকে নেমে কাজ সেরে নেবেন। কিন্তু দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারেননি, ওই ফাঁকা রাস্তায় রাতের অন্ধকারে ওঁৎ পেতে বসেছিল কেউ। তিনি গাড়ি থেকে নেমে যখন নিজেকে হাল্কা করছেন, তখনই গাড়ি নিয়ে সটান চম্পট দিল তারা!
ঘটনার আকস্মিকতায় প্রথমে হতভম্ব হয়ে যান ঋষভ। নেশা ছুটে যায় তাঁর। প্রথমেই মাথায় আসে, নিজের নয়, শ্যালকের গাড়িটি নিয়ে পার্টিতে এসেছিলেন তিনি। চল্লিশ লক্ষ টাকার ঋণের বোঝা রয়েছে এ গাড়ির পেছনে। আর সেই গাড়িই কিনা স্রেফ চুরি হয়ে গেল চোখের সামনে!
পুলিশ জানিয়েছে, ওই রাতে ঘটনাস্থল থেকেই পুলিশে খবর দেন ঋষভ। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ।জানতে পারে, ঋষভ অরোরার জলবিয়োগ করার সুযোগে দামি গাড়ি নিয়ে পালিয়ে গেছে চোর! ঋষভ গত ছ’-সাত দিন ধরে তাঁর শ্যালকের ওই বিএমডব্লিউ গাড়িটি চালাচ্ছিলেন।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, গাড়ির মালিককে এবং ঋষভ অরোরাকে খুব ভাল করে চেনে, এমন কেউই এই কীর্তি করেছে। ওই দিন ওই গাড়ি নিয়ে ওই রাস্তা দিয়ে ঋষভ ফিরবে জেনেই ছক সাজিয়েছিল তারা। হয়তো প্রথম থেকেই ফলো করছিল ঋষভকে, যা তিনি বুঝতে পারেননি।
অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে গাড়ি ছিনতাইয়ের এফআইআর দায়ের হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, খুব তাড়াতাড়ি অপরাধীকে ধরতে পারবে তারা। তবে ঋষভ অরোরার বিরুদ্ধেও মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর চার্জ আনা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ঋষভ অরোরা দাবি করেছেন, তিনি যখন প্রস্রাব করছিলেন তখন কেউ বা কারা মোটরবাইকে করে এসে তাঁর পিঠে বন্দুক ঠেকিয়েছিল। তিনি আতঙ্কে চিৎকার করতে পারেননি, সেই সুযোগে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। কিন্তু ঋষভের এই বক্তব্য আদৌ সত্য কিনা, তা এখনও নিশ্চিত নয় পুলিশ। কারণ মদ্যপ অবস্থায় তাঁর সঙ্গে ঠিক কী ঘটেছিল, তা তিনি সঙ্গতিপূর্ণ ভাবে বলতে পারছেন না বলেই মনে করছে পুলিশ।