রোদের শক্তিতে চলা গাড়ি বানিয়ে তাক লাগালেন শিক্ষক, ভিডিও শেয়ার করে ভূয়সী প্রশংসা আনন্দ মাহিন্দ্রার

বাংলা হান্ট ডেস্ক: সম্প্রতি কাশ্মীরের বাসিন্দা বিলাল আহমেদ এমন একটি গাড়ি তৈরি করেছেন যেটিকে সৌরশক্তির সাহায্যে চালানো সম্ভব। এমতাবস্থায়, পেশায় গণিত শিক্ষক বিলাল তাঁর এই স্বপ্নের গাড়ি তৈরি করতে ১১ বছর কাজ করেছেন। এদিকে সম্প্রতি, দেশের অন্যতম বিজনেস টাইকুন তথা মাহিন্দ্রা গ্রুপের চেয়ারম্যান আনন্দ মাহিন্দ্রা (Anand Mahindra) বিলাল আহমেদের এহেন কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।

শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যেই মাহিন্দ্রা টুইটারে বিলাল আহমেদের তৈরি করা ওই অভিনব গাড়ির একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। ইতিমধ্যেই ওই ভিডিওটি নেটমাধ্যমে ভাইরাল হতেও শুরু করেছে। শুধু তাই নয়, ওই গাড়িটির পরিপ্রেক্ষিতে নিজের মতামতও ব্যক্ত করেছেন তিনি।

কি বলেছেন আনন্দ মাহিন্দ্রা:
ওই ভিডিওটি শেয়ার করে আনন্দ মাহিন্দ্রা বলেছেন “এই প্রোটোটাইপটি তৈরি করার জন্য আমি বিলালের প্রশংসা করি। এই নকশাটি বাস্তবায়িত করা দরকার এবং এই ধরনের গাড়িও তৈরি করা উচিত।” সর্বোপরি মাহিন্দ্রা বলেছেন যে, হয়ত মাহিন্দ্রা রিসার্চ ভ্যালিতে থাকা আমাদের দল এই নকশাটি সম্প্রসারণের জন্য বিলালের সাথে কাজ করতে পারে। এমতাবস্থায়, মাহিন্দ্রার এই টুইটটি দারুণভাবে প্রশংসিত হচ্ছে নেটমাধ্যমে।

দরজায় বসানো হয়েছে সোলার প্যানেল:
এদিকে, বিলালের তৈরি ওই “সোলার কার”-এর দরজায় সোলার প্যানেল লাগানো আছে। পাশাপাশি, আহমেদের গাড়ির এই নকশাটি সেটিকে শুধু স্টাইলিশই করেনি বরং গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে দরজা হিসেবেও ব্যবহৃত হচ্ছে। জানা গিয়েছে, বিলাল তাঁর এই গাড়িটিতে রিজেনারেটিভ ব্রেকিং দিয়ে সজ্জিত করেছেন।

কম আলোতে কাজ করে এই প্যানেল:
এই প্রসঙ্গে বিলাল জানান, জ্বালানির দাম বৃদ্ধির কথা মাথায় রেখে তিনি সৌরশক্তি চালিত গাড়ি তৈরির সিদ্ধান্ত নেন। যে কারণে বিলাল চেন্নাইয়ের একটি প্রস্তুতকারকের কাছ থেকে সৌর প্যানেল পেয়েছিলেন। পাশাপাশি, তিনি এমন প্যানেল বেছে নিয়েছিলেন যা কম আলোতেও যথেষ্ট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে। তাঁর মতে, “কাশ্মীরে বেশিরভাগ সময়ই কম সূর্যালোক থাকে। আমি এমন সোলার প্যানেল ব্যবহার করেছি যা কম রোদের দিনেও সঠিকভাবে কাজ করতে পারে।”

সোশ্যাল মিডিয়াতে সক্রিয় থাকেন মাহিন্দ্রা: প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আনন্দ মাহিন্দ্রা সোশ্যাল মিডিয়াতে অত্যন্ত সক্রিয় থাকেন। পাশাপাশি, তিনি বিভিন্ন মজাদার পোস্টের পাশাপাশি সমাজের প্রান্তিক শ্রেণির মানুষদেরকেও নিয়ে আসেন লাইমলাইটে। সর্বোপরি, তিনি তাঁদের উদ্দেশ্যে বাড়িয়ে দেন সাহায্যের হাতও। যার ফলে দিন দিন নেটমাধ্যমে তাঁর অনুরাগীর সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর