বাংলাহান্ট ডেস্কঃ সারা দেশে তিন বছর বয়সের শিশুর বিদ্যালয়ে যাওয়া বাধ্যতামূলক হতে চলেছে এমন টাই জানা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে। সংসদে বিল পাস হলেই সারা দেশেই কার্যকর হবে এই নয়া বিল। ভারতে বর্তমানে প্রায় পাঁচ কোটি শিশু প্রাক প্রাথমিক শিক্ষার বাইরে। আগামীতে এই সংখ্যা ছাড়াবে ১০ কোটি। এই নতুন নিয়ম চালু হলে উপকৃত হবে সারা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা।
নির্দিষ্ট টাকার বিনিময়ে প্লে এবং কিন্ডারগার্টেন স্কুলে ছেলেমেয়েদের পাঠান মধ্যবিত্ত অভিভাবকরা। এ রাজ্যে সরকারিভাবে ‘প্রাক প্রাথমিক শিক্ষা’ চালু হলেও তার অবস্থা তথৈবচ। এই নয়া বিলে স্কুলশিক্ষায় বিভিন্ন স্তরের যে যে বিন্যাস আছে তা বদলে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
নতুন আইনে তিন থেকে আট বছর (প্রাক প্রাথমিক থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি) পর্যন্ত স্কুলশিক্ষার স্তরকে বলা হবে মূল বা ফাউন্ডেশনাল। আট থেকে এগারো বছর (তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি) পর্যন্ত প্রস্তুতিমূলক বা প্রিপারেটরি। এগারো থেকে চোদ্দো বছর (ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি) পর্যন্ত মধ্য বা মিডল এবং চোদ্দো থেকে আঠারো বছর (নবম থেকে দ্বাদশ) পর্যন্ত উচ্চ বা হাই। শেষ স্তরটিকে নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ এই দু’টি ভাগে ভাগ করা হবে। যদিও এই শিক্ষা নীতি কতটা বৈজ্ঞানিক তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিরোধীরা।
নতুন এই আইনে ফাউন্ডেশনাল স্তরের জন্য আলাদা শিক্ষক নিয়োগ হবে। জাতীয় শিক্ষা নীতি ‘আর্লি চাইল্ডহুড কেয়ার অ্যান্ড এডুকেশন’(ইসিসিই)-এর উপর বিশেষ জোর দিয়েছে। স্কুলের শুরুতে শিশুদের খেলাধুলোর মাধ্যমে শেখানোর কথা বলা হয়েছে। প্রথমে শিশুদের সৌজন্য, নীতি, মূল্যবোধ, পরিচ্ছন্নতা, একতা প্রভৃতি শেখানো হবে।