“জন গণ মন” এবং “বন্দেমাতরম” দু’টি গীতই সমমর্যাদার! কেন্দ্র জানিয়ে দিল দিল্লি হাইকোর্টকে

বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার দিল্লি হাইকোর্টে (The High Court of Delhi) দেশের জাতীয় সঙ্গীত “জন গণ মন” এবং রাষ্ট্র গীত “বন্দে মাতরম” উভয়েরই সমান মর্যাদা রয়েছে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিল কেন্দ্র। পাশাপাশি, কেন্দ্রের তরফে আরও জানানো হয় যে, জাতীয় সঙ্গীত এবং রাষ্ট্র গীতকে একইভাবে সম্মান জ্ঞাপন করতে হবে নাগরিকদের।

এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি, এর আগে বিজেপি নেতা অশ্বিনী উপাধ্যায় দিল্লি হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে দাবি জানান যে, এবার থেকে যেন রাষ্ট্র গীত “বন্দে মাতরম”-কে জাতীয় সঙ্গীত অর্থাৎ ‘জন গণ মন’-এর সমান মর্যাদা দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি আরও আবেদন করা হয়, হাইকোর্ট যেন কেন্দ্র ও রাজ্যের সরকারগুলিকে প্রতিটি স্কুল এবং অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে “জন গণ মন” এবং “বন্দে মাতরম” গাওয়ার ক্ষেত্রে নির্দেশ প্রদান করে।

এমতাবস্থায়, সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই এবার হলফনামা পেশ করে কেন্দ্র স্পষ্ট জানিয়েছে যে, “জন গণ মন এবং বন্দে মাতরম, এই দু’টিরই মর্যাদা একই রয়েছে। পাশাপাশি, এই দুই গীতের ক্ষেত্রে নিজস্ব পবিত্রতাও আছে। তাই প্রত্যেক নাগরিককে এই দু’টি গীতকে সমান সম্মান ও মর্যাদা দেওয়া উচিত।” পাশাপাশি, এটি কখনও রিট পিটিশনের বিষয় হতে পারে না বলেও জানিয়েছে কেন্দ্র।

এদিকে, অশ্বিনী উপাধ্যায় দাবি করেছেন যে, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে একটি ঐতিহাসিক এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে “বন্দে মাতরম” গীতটি। এমতাবস্থায়, এই পবিত্র গীতকে সম্মান জানানোর পাশাপাশি জাতীয় সঙ্গীতের মত সমমানের মর্যাদা দেওয়া উচিত।” এছাড়াও, অশ্বিনী আরও জানান “১৮৯৬ সালে কলকাতায় কংগ্রেসের অধিবেশনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বন্দে মাতরম গেয়েছিলেন। পাশাপাশি, ১৯০১-এর কংগ্রেস অধিবেশনেও দক্ষিণাচরণ সেন এটি গেয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, ১৯০৫ সালে বারাণসীর কংগ্রেস অধিবেশনে সরলা দেবী গীতটি গান।”

india national flag

এছাড়াও, লালা লাজপত রায় লাহোর থেকে এই নামে একটি সংবাদপত্র প্রকাশ করতেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। এমতাবস্থায়, কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, “জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার এবং বাজানোর ক্ষেত্রে কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম এবং নির্দেশ রয়েছে। যদিও, রাষ্ট্র গীতের ক্ষেত্রে সেই ধরনের কোনো নির্দিষ্ট শর্ত নেই। তবে, এই গীত নিঃসন্দেহে ভারতীয়দের আবেগেকে ছুঁয়ে যায়। সর্বোপরি, প্রত্যেক ভারতীয়র মনে এটি একটি বিশেষ স্থান অর্জন করে রয়েছে।”


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর