বাংলা হান্ট ডেস্ক: সুষ্ঠুভাবে জীবনধারণের জন্য অর্থ উপার্জন সবাইকেই করতে হয়। আর সেই অর্থ উপার্জনের জন্যই বিভিন্ন কাজকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন মানুষ। প্রায় সমস্ত কাজের ক্ষেত্রেই এমন একজন থাকেন যিনি পরিচালিত করেন তাঁদের কর্মীকে। বিশেষত কোনো কোম্পানি বা সংস্থার কাজে এটি বেশি পরিলক্ষিত হয়।
স্বাভাবিকভাবেই, কাজ করাকালীন মালিক কিংবা “বস”-এর সাথে আত্মিক সম্পর্ক তৈরি হয় কর্মীদের। তাঁদের বিপদ-আপদ, কিংবা যে কোনো দরকারে এগিয়ে আসেন কোম্পানির প্রধানরাই। কিন্তু, কোনো CEO তাঁর কর্মীদের জন্য শেয়ার উপহার দিয়ে তাঁদের পাশে থেকেছেন, এমন কখনও শুনেছেন? বর্তমান যুগে এটি অকল্পনীয় মনে হলেও ঠিক এইরকমই এক ঘটনা ঘটেছে।
জানা গিয়েছে যে, IDFC ফার্স্ট ব্যাঙ্কের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং CEO ভি বৈদ্যনাথন, তাঁর কর্মীদের নিষ্ঠা ও কঠোর পরিশ্রমের জন্য ৩.৯৫ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের শেয়ার উপহার বাবদ তাঁদের দিয়েছেন। এদিকে এই ঘটনার জেরে রীতিমতো খবরের শিরোনামে উঠে এসেছেন বৈদ্যনাথন। সূত্র অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, প্রকৃতপক্ষে, তিনি তাঁর বাড়ির সাহায্যকারী, ড্রাইভার, ট্রেনার এবং অফিস স্টাফ মিলিয়ে মোট পাঁচ জন কর্মীকে বাড়ি কিনতে সাহায্য করতেই এই বিপুল মূল্যের শেয়ার তুলে দিয়েছেন তাঁদের হাতে।
এই প্রসঙ্গে ফ্রি প্রেস জার্নালের এক প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে যে, বৈদ্যনাথন তাঁর ট্রেনার রমেশ রাজুকে ৩ লক্ষ টাকার শেয়ার উপহার দিয়েছেন। এছাড়াও, তিনি তাঁর বাড়ির কাজে সাহায্যকারী প্রাঞ্জল নার্ভেকার এবং ড্রাইভার আলগারসামি সি মুনাপারকে ২ লক্ষ টাকার শেয়ার উপহার দিয়েছেন। পাশাপাশি, তিনি অফিস সহায়ক কর্মী দীপক পাথারে এবং বাড়ির কাজে আরও এক সাহায্যকারী সন্তোষ জোগলেকে ১ লক্ষ টাকার শেয়ার উপহার দিয়েছেন।
এদিকে, বৈদ্যনাথনের উপহার দেওয়া ৯ লক্ষ শেয়ারের মোট বাজার মূল্য হল ৩ কোটি ৯৫ লক্ষ ১০ হাজার ১০০ টাকা। এই সমস্ত শেয়ার চলতি বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি দেওয়া হয়েছিল। এই প্রসঙ্গে ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে বলা হয়, এইভাবে আইডিএফসি ফার্স্ট ব্যাঙ্ক লিমিটেডের মোট ১১ লক্ষ ইক্যুইটি শেয়ার উপহার ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের জন্য দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগেও কর্মীদের বিরাট উপহার দেওয়ার মত বিরল ঘটনা সামনে এসেছে। সম্প্রতি, সি আর অনীশ নামে একজন কর্মচারীকে তাঁর বস এ কে শাজি, একটি মার্সিডিজ-বেঞ্জ এসইউভি উপহার দিয়ে অবাক করে দিয়েছিলেন। জানা গিয়েছিল যে, সি আর অনীশ গত ২২ বছর ধরে কোম্পানির চিফ বিজনেস ডেভেলপমেন্ট অফিসার হিসাবে বিশ্বস্ততার সাথে কাজ করেছেন। বছরের পর বছর ধরে অনীশের কাজের প্রতি নিষ্ঠা ও আনুগত্যে খুশি হয়ে তাঁর মালিক এই উপহার দিয়েছিলেন।