বাংলাহান্ট ডেস্কঃ প্রশাসনিক বৈঠকে বসে আবারও মেজাজ হারালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী (mamata banerjee)। বৈঠকের শেষে দলীয় কর্মীদের উপরই মেজাজ হারিয়ে ধমক দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন বিষয়ে ফিরিস্তি দেওয়ার পরও যখন একই বিষয়ে প্রশ্ন করলেন ছাতরা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সহদেব বাউড়ি (sahadev bauri), তখনই মেজাজ হারেলন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী।
এদিনের বৈঠকে রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে বাউড়ি, বাগদি, মতুয়া কালচারাল বোর্ডের হেড কোয়ার্টার হবে এবং কারা সেইসমস্ত দায়িত্বে থাকবেন সেই বিষয়ে বিস্তারিত জানান। কিন্তু তারপরই ছাতরা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সহদেব বাউড়ি, বাউড়ি সম্প্রদায়ের জন্য উন্নয়ন পর্ষদ তৈরি করার আবেদন জানান। এই কথা শুনেই রেগে ওঠেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী রেগে গিয়ে ধমক দিয়ে বললেন, উন্নয়ন পর্ষদ আর কালচারাল বোর্ড এই কথা দুটো আমরা একই অর্থে ব্যবহার করে থাকি। এতক্ষণ ধরে কি শুনলেন? আগে তো কিছুই ছিল না। ধীরে ধীরে সবকিছুই করে দেওয়া হচ্ছে সকলকে। অনেক কিছুই দিয়েছি। আর চাইবেন না’।
ক্ষিপ্ত মুখ্যমন্ত্রী এখানেই থামলেন না। তিনি আরও বললেন, ‘সরকারের একটা সীমাবদ্ধতা থাকে, সেটা আপনাদের বুঝতে হবে। করোনা মহামারির কারণে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা বেরিয়ে গেছে। সাধারণ মানুষের সব অর্থ। কোন টাকা দেয়নি কেন্দ্র। আমরা ১ তারিখের মধ্যে সকলকে বেতন দিয়ে দিচ্ছি, পেনশনও দিয়ে দিচ্ছি, অন্য জায়গায় তা কিন্তু হচ্ছে না’।
সহদেব বাউড়ি মুখ্যমন্ত্রীকে তফসিলি বন্ধু প্রকল্পে বিধবাদের সুবিধা দেওয়ার আবেদন করলেও, তাঁর উপর সুর চড়ান মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। তিনি বলেন, ‘সারাক্ষণ শুধু দাও দাও করলে চলবে না। সব সময় তোমাদের পাকামো! শুধু চাইলেই হবে, টাকা কোথা থেকে আসবে ভেবেছ? পশ্চিমবঙ্গ সামাজিক কাজের দিক থেকে সারা পৃথিবীতে এক নম্বরে রয়েছে। রাজ্যের প্রায় ৯ কোটি মানুষই কোন না কোন প্রকল্পের আয়ত্তায় রয়েছে। আমি অনেক কিছুই করেছি। কেউ এর আগে এক শতাংশও করতে পারেনি’।