বাংলাহান্ট ডেস্কঃ চাইনিজ সেনাদের মত চাইনিজ মিডিয়ায়ও ক্রমাগত ভারতের (India) প্রতি তাঁদের আগ্রাসন মনভাবেরর প্রকাশ ঘটাচ্ছে। চীন সরকার জিনপিং-এর মুখপাত্র গ্লোবাল টাইমসের (Global Times) সম্পাদক হু শিজন সম্প্রতি ভারতীয় সেনাদের এক হুমকি সূচক বার্তা দিয়েছেন। তাঁর কথায় সীমান্তের কড়া ঠাণ্ডায় ভারতীয় সেনারা নাকি কুপোকাত হয়ে পড়বে।
চীনা সম্পাদকের ট্যুইট
হু শিজনের করা ট্যুইটের মর্মার্থ, ‘ভারতীয় সেনারা যদি প্যাংগং এলাকা থেকে সরে না যায়, তাহলে তারা প্রকৃতির প্রচণ্ড ঠাণ্ডার মোকাবিলা করতে পারবে না। সেখানেই তারা করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাবে’। এই বিবৃতির পর থেকেই স্যোশাল মিডিয়ায় বহুল পরিমাণে ট্রোলড হতে শুরু হয়েছেন চীনা পত্রিকার সম্পাদক। সেইসঙ্গে ভারতীয় নেটিজনরা তাঁকে সিয়াচেনের কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছে।
If Indian troops don't withdraw from the southern bank of Pangong Tso Lake, the PLA will confront them all winter long. Indian troops' logistics are poor, many Indian soldiers will die of freezing temperature or COVID-19. If a war breaks out, Indian army will be defeated quickly.
— Hu Xijin 胡锡进 (@HuXijin_GT) September 10, 2020
ভারতীয় নেটিজনরা হু শিজনের ট্যুইটের প্রতিক্রিয়া দিয়ে সায়ন দে নামে এক ট্যুইটার ব্যবহারকারি লিখেছেন, ‘চীন সম্পাদক ঠাণ্ডার গল্প অন্য কারো কাছে গিয়ে করবেন। ভারতীয় সেনাদের ঠাণ্ডার ভয় দেখাবেন না। ভারতের জওয়ানরা পাহাড়ের প্রচণ্ড শীতল পরিস্থিতিতেও নিজেদেরকে ঠিক প্রমাণ করে দেখাবে। এটা ভুলে যাবেন না, যে ভারতের সেনাবাহিনী সিয়াচেনের মত বিশ্বের সর্বোচ্চ রণক্ষেত্রটির সুরক্ষায়ও নিয়োজিত রয়েছে।’
Whom are you trying to sell these stories to?
Indian Army is one of the best forces when you come to mountain warfare. We manage the highest battleground in the world. We are much more battle-ready than your forces. And COVID? Potency of your virus decreases with altitude! Haha!— Sayan Dey (@sayan_dey) September 10, 2020
অপর এক ট্যুইটার ব্যবহারকারী মহসিন শেখও চীনা সম্পাদককে সিয়াচেনের কথা স্মরণ করিয়ে লিখেছেন, ‘ভারতীয় সৈন্যরা 24×7 বিশ্বের সবচেয়ে শীতল এবং সর্বোচ্চ যুদ্ধক্ষেত্রে নিজেদের কর্তব্যে অবিচল থাকে’। সেইসঙ্গে আরও এক নেটিজন চীনা সম্পাদকের উক্তির পাল্টা জবাব দিয়ে বলেছেন, ‘ভারতীয় সেনাবাহিনী সিয়াচেনের মাইনাস ৫০ ডিগ্রীতে ১০- ১৮ ফুট উচতায় ২৪ ঘণ্টা দেশের সুরক্ষা করে চলেছে’।