বাংলাহান্ট ডেস্কঃ সমগ্র বিশ্ব যখন করোনা ভাইরাসের (COVID-19) আতঙ্কে রয়েছে, তখন জম্মু কাশ্মীর (Jammu-kashmir) নিয়ে এক নতুন বিষয় সামনে এল। কেন্দ্রশাসিত প্রদেশ জম্মু কাশ্মীর নিয়ে সরকার এক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। জম্মু কাশ্মীরে বসবাসকারী মানুষদের জন্য তৈরি করা হয় এই নতুন নিয়ম। নিয়মটি হল- গত ১৫ বছর ধরে যারা জম্মু কাশ্মীরে বসবাস করছেন, তাঁদের সকলেকই এই কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের নাগরিক বলে গণ্য করা হবে।
শুধু তাই নয়, যে সমস্ত ছাত্র ছাত্রীরা জম্মু কাশ্মীরে ৭ বছর ধরে পড়াশুনো করছে, এবং দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণীতে পরীক্ষা দিয়েছে তাঁরাও জম্মু কাশ্মীরের নাগরিকত্ব পাবে। এই সমস্ত মানুষেরা তাঁদের এলাকার নেতা মন্ত্রীর মারফত তাঁদের নাগরিকত্বের সার্টিফিকেট বানাতে পারবে।
কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিল হওয়ার পর সেখানকার সংস্কৃতির সুরক্ষা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে। এই কারণেই কেন্দ্র সরকার এই সিদ্ধান্ত নেয় যে, কমপক্ষে ১৫ বছরের পুরোন মানুষেরাই জম্মু কাশ্মীরের নাগরিকত্ব পাবে। এই নিয়ে এখন জম্মু কাশ্মীরের ন্যাশানাল কনফারেন্স এবং পিডিপি রাজনৈতিক পার্টির মধ্যে চাপানোতর শুরু হয়ে গেছে।
এই নতুন নিয়মের অনুসারে সমস্ত প্রবাসী, যারা ওখানকার রাহাত এবং পূনর্বাস আয়ুবের মাধ্যমে রেজিস্টার করাছিল, তারাও এই নিয়মের আয়ত্তায় পড়বে। এই নতুন নিয়মে আরও বলা হয়েছে, রাজ্যে ১০ বছর ধরে সেবা করা অখিল ভারতীয় সেবা সমিতির অধ্যক্ষরা, সার্বজনীন উপক্রম সরকারী ব্যাংক, কেন্দ্রীয় বিশ্ব বিদ্যালয় এবং কেন্দ্রের দ্বারা সম্মতি প্রাপ্ত স্থানের অধিবাসীরাও নাগরিকত্ব পাবে। এমনকি রাহাত এবং পূনর্বাস আয়ুব যাদের শরনার্থী হিসাবে জায়গা দিয়েছে, তারাও এই আইনের মধ্যে পড়বে। এবং গ্রুপ ৪ এর কর্মরত নাগরিকদের এই অধিকার দেওয়া হবে।