নয়া রেকর্ড! গত আট বছরে ১১ হাজার কোটি টাকার স্বদেশী অস্ত্র রফতানি করেছে ভারত

বাংলা হান্ট ডেস্ক: করোনার মত ভয়াবহ মহামারীর পরেও রফতানির ক্ষেত্রে বিরাট রেকর্ড তৈরি করেছিল ভারত। ইতিমধ্যেই প্রাপ্ত পরিসংখ্যান থাকে জানা গিয়েছে যে, প্রায় ৪০০ বিলিয়ন ডলারের বিপুল রফতানি হয়েছিল দেশ থেকে। যা নিঃসন্দেহে ভারতের ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

তবে, এবার গত আট বছরে ভারত ঠিক কত টাকার অস্ত্র রফতানি করেছে সেই পরিসংখ্যান সামনে এনেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। আর এই পরিসংখ্যানেও মিলেছে সফলতা। গত শুক্রবার লোকসভায় প্রতিরক্ষামন্ত্রক জানিয়েছে যে, ২০১৪ সাল থেকে চলতি আর্থিক বছরের মধ্যে প্রায় ৬ গুণ অস্ত্র রফতানি বাড়িয়েছে কেন্দ্র।

শুধু তাই নয়, গত আট বছরের অস্ত্র রপ্তানির মোট পরিমানও সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে যে, গত আট বছরে প্রায় ১১ হাজার ৬০৭ কোটি টাকার আগ্নেয়াস্ত্র রফতানি করেছে ভারত। পাশাপাশি, সবচেয়ে বেশি অস্ত্র রফতানি হয়েছে ফিলিপিন্সে। এছাড়াও, এই বছরের জানুয়ারি মাসে একটি বড় চুক্তিও সম্পন্ন হয়েছে। যেটির আর্থিক মূল্য প্রায় ২,৭০০ কোটি টাকা।

দ্রুততম সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্রহ্মোস-ও যুক্ত রয়েছে এই রফতানি খাতে। জানা গিয়েছে যে, ২০২৫ সালের মধ্যে ৩৬,৫০০ কোটি টাকার অস্ত্র রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে কেন্দ্র। এদিকে, ভারত থেকে রফতানির মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে পৌঁছে যাচ্ছে অস্ত্র। ইতিমধ্যেই আকাশ এবং ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র রফতানি নিয়ে আলোচনা চলছে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহির সঙ্গে। এছাড়াও, ভিয়েতনাম এবং ইন্দোনেশিয়ায় অস্ত্র রফতানি বাড়িয়েছে ভারত।

এই প্রসঙ্গে লোকসভায় লিখিতভাবে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী অজয় ভাট জানিয়েছেন যে, ২০১৪-১৫-র আর্থিক বর্ষে ভারত থেকে বিদেশে আগ্নেয়াস্ত্র রফতানির আর্থিক মূল্য ছিল প্রায় ১,৯৪১ কোটি টাকা। কিন্তু, ২০২০-২১-এর আর্থিক বর্ষের ২১ মার্চ পর্যন্ত এই রফতানির মূল্য পৌঁছে গিয়েছে ১১,৬০৭ কোটি টাকায়।

brahmos 3

কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মতে, অস্ত্র রফতানির ক্ষেত্রে এই বিরাট সাফল্যের জন্য অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ডের সহযোগিতা এবং প্রতিরক্ষা দফতরের কার্যকরী উদ্যোগের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া, তিনি আরও বলেন যে, ‘‘অস্ত্র রফতানিতে জোর দেওয়ার জন্য এই কয়েক বছরে বেশ কিছু সংস্কারের পথেও হেঁটেছে কেন্দ্রীয় সরকার।’’ আর তাতেই মিলেছে এই সফলতা।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর