বাংলা হান্ট ডেস্ক: বাড়ির নিচেই লুকিয়ে ছিল গুপ্তধনের সম্ভার! কিন্তু তা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি দম্পতি। যদিও, শেষপর্যন্ত তা উদ্ধার হতে চক্ষু চড়কগাছ হয়ে গিয়েছে সকলের। সর্বোপরি, রাতারাতি কোটিপতিও হয়ে গিয়েছেন ওই দম্পতি। জানা গিয়েছে, এই অবিশ্বাস্য ঘটনাটি ঘটেছে ব্রিটেনে (Britain)-এ। সেখানে নর্থ ইয়র্কশায়ারে থাকা এক দম্পতি রান্নাঘরের মেঝের নিচ থেকে একইসাথে ২৬৪ টি স্বর্ণমুদ্রা খুঁজে পান।
আর তারপরেই এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। আপাতত, সেই স্বর্ণমুদ্রাগুলিকে নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করা হবে বলে জানা গিয়েছে। যদিও, সেগুলির দাম শুনলে ভিরমি খাবেন যে কেউই। এই প্রাচীন মুদ্রাগুলির আনুমানিক মূল্য হল ২,৫০,০০০ পাউন্ড অর্থাৎ ২.৩ কোটি টাকা। জানা গিয়েছে, বাড়িটিতে ১০ বছর ধরে বসবাস করছিলেন ওই দম্পতি। কিন্তু তাঁরা কখনোই ওই গুপ্তধন সম্পর্কে কিছুই জানতে পারেন নি।
এমতাবস্থায়, এই বিপুল সম্পদের খোঁজ পেয়ে তাঁরা এখন স্পিঙ্ক অ্যান্ড সন-এর মাধ্যমে নিলামের সাহায্যে স্বর্ণমুদ্রাগুলিকে বিক্রির প্রস্তুতি নিচ্ছেন। খবর অনুযায়ী, এই স্বর্ণমুদ্রাগুলি প্রায় ৪০০ বছরের পুরোনো। ২০১৯ সালে এগুলির খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল। মূলত, রান্নাঘরের মেঝে মেরামতের সময়ে ওই দম্পতি এই মুদ্রাগুলি পেয়েছিলেন। সেগুলি একটি ধাতুর ভিতরে পাওয়া যায়। পাশাপাশি, কংক্রিটের মাত্র ছয় ইঞ্চি নিচে চাপা অবস্থায় ছিল সেটি।
এদিকে, ওই দম্পতি প্রথমে ভেবেছিলেন যে, তাঁরা হয়তো কোনো বৈদ্যুতিক তারে আঘাত করে ফেলেছেন। কিন্তু যখন তাঁরা মেঝেটি তুলেছিলেন তখন একটি কাপের মত বস্তুতে মুদ্রার স্তূপ দেখতে পান। দম্পতির মতে, সেটি একটি কোকের বোতলের মতো বস্তু ছিল। পাশাপাশি, এই প্রসঙ্গে টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, দম্পতি যখন ওই মুদ্রাগুলিকে বের করে দেখেন তখন তাঁরা বুঝতে পারেন যে সেই মুদ্রাগুলি ১৬১০ থেকে ১৭২৭ খ্রিস্টাব্দের সময়কার। মূলত, জেমস এবং চার্লসের শাসনকালের মুদ্রা ছিল সেগুলি।
এমতাবস্থায়, তাঁরা মনে করেছেন যে, কোনো সম্ভ্রান্ত পরিবারের ওই সম্পত্তি এতদিন তাঁদের বাড়ির তলায় ওইভাবেই চাপা পড়েছিল। এদিকে, বহুমূল্যের এই সম্পত্তির খোঁজ পেয়ে রীতিমতো আনন্দিত হয়েছেন ওই দম্পতি। এই প্রসঙ্গে স্পিঙ্ক অ্যান্ড সন-এর গ্রেগরি এডমন্ড জানিয়েছেন যে, “পাবলিক মার্কেটে এগুলির দাম কত হতে পারে সেটি জানা সত্যিই রোমাঞ্চকর ব্যাপার। এত বিপুল সংখ্যক স্বর্ণমুদ্রা নিলামে তোলার ব্যাপারে আমরা কখনোই ভাবিনি।”