বাংলাহান্ট ডেস্কঃ কোভিড হাসপাতালে মোবাইল বন্ধ নিয়ে জনস্বার্থ মামলা, রাজ্যের জবাব চাইল হাইকোর্ট (High Court)। হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশ ও ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা। সেই মামলায় ৭ মে-র মধ্যে রাজ্যকে নিজের বক্তব্য জানাতে নির্দেশ দিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারকেও (central government) এই মামলায় অন্তর্ভুক্ত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলাটি দায়ের করেছেন হিন্দু জাগরণ মঞ্চের নেতা নবেন্দু কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। অতি জরুরি শুনানির মামলার তকমা গতকালই দিয়েছিল হাইকোর্ট। আজ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে মামলটির শুনানি হয়।
মামলাকারীর আইনজীবী অরিজিৎ বক্সী জানিয়েছেন, আজ হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতি মামলাটি শোনেন। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরকে মামলার কপি দিতে নির্দেশ দেন। পাশাপাশি, ৭ মে-র মধ্যে হাসপাতালে মোবাইল বন্ধের বিষয়ে রাজ্যের বক্তব্য জানানোর জন্য নির্দেশ দেন সরকারি আইনজীবীকে। প্রসঙ্গত, গত ২১ এপ্রিল মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা সাংবাদিক বৈঠকে জানান, কোভিড হাসপাতালে কোনওভাবেই মোবাইল ব্যবহার করা যাবে না।
সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন হিন্দু জাগরণ মঞ্চের নেতা। মামলাকারীর বক্তব্য, মোবাইল বন্ধের বিষয়ে WHO-এর কোনও গাইডলাইন নেই। তাছাড়া পর পর ২টি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। যেখানে দেখা যায়, কোভিডে মৃত রোগীদের নিয়ে কী করা হচ্ছে! এই কারণেই রাজ্য হাসপাতালে মোবাইল নিষিদ্ধ করতে চাইছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, রাজ্য় সরকারের হাসপাতালে মোবাইল বন্ধের নিষেধাজ্ঞাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ইতিমধ্যে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংও। রাজ্য সরকারের এই নির্দেশিকা মহামারী আইন পরিপন্থী বলে দাবি করেছেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ।