বাংলাহান্ট ডেস্কঃ একসময় বাংলার (West bengal) বুকে রাজ করা সিপিএম (Communist Party of India) দল, এখন কুয়োর ব্যাঙে পরিণত হয়েছে। সিপিএমের ৩৪ বছরের শাসনের পর বাংলার মানুষ বদল চেয়েছিল, ক্ষমতায় এসেছিল তৃণমূল দল। এবার সেই জায়গা দখল করতে উঠে পড়ে লেগেছে বিজেপি। যার দরুণ গদি দখলের প্রতিযোগিতায় সিপিএমকে আর খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না।
ক্ষমতায় নেই বলে কি, দলেরও কোন অস্তিত্ব নেই! বামেদের দল এখনও আইসিইউ থেকে ফিরে আসার স্বপ্ন দেখছে। কিন্তু তাঁর জন্য দলের সদস্যরা একসঙ্গে বসে মাঝে মধ্যে মিটিং মিছিল করারও তো দরকার আছে। এবার আর সেই জায়গাটাই থাকল না ডুয়ার্সের গয়েরকাটায় সিপিএমের সদস্যদের।
ভাড়া দেওয়া হল পার্টি অফিস
মালদা থেকে আসা ৬ জনের একটি ফেরিওয়ালার টিমকে নির্দ্বিধায় পার্টি অফিস ছেড়ে দিলেন সিপিএম সদস্যরা। তাও আবার মাসিক ২ হাজার টাকার বিনিময়ে। যা দলের অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি ব্লকের গয়েরকাটা পোস্ট অফিস সংলগ্ন একটি পার্টি অফিস বহুদিন ধরেই ছিল সিপিএমদের দখলে। সিপিএমের রাজত্বে এই পার্টি অফিস সদস্যদের হুঙ্কারে গমগম করত। কিন্তু ২০১১ সালে রাজত্ব হাতছাড়া হওয়ার পর থেকে ক্রমশ জনমানবহীন হয়ে পড়েছিল ওই পার্টি অফিস।
ভাড়া নিয়েছেন ফেরিওয়ায়ালারা
সম্প্রতি ওই এলাকায় কিছুদিন ধরে বেশ কয়েকজন ফেরিওয়ালা রুজিরুটির খোঁজে আসেন। মালদা থেকে আসা ওই ফেরিওয়ায়ালদের দেখা যায় তাদের জিনিসপত্র নিয়ে ওই পার্টি অফিস থেকেই বেরোচ্ছে। জিজ্ঞেস করতেই মহম্মদ রাকিবুল নামের এক ফেরিওয়ালা বললেন, তারা দুহাজার টাকার বিনিময়ে ঘরটি ভাড়া পেয়েছেন। জিনিস বিক্রি হয়ে গেলেই ঘর ছেড়ে দেবেন।
নেওয়া হবে উপযুক্ত ব্যবস্থা
একথা জানাজানি হতেও প্রচন্ড অস্বস্তিতে পড়ে যায় সিপিএম দল। সিপিএমের জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক সলিল আচার্য জানিয়েছেন, ‘পার্টি অফিস ভাড়া দেওয়ার অধিকার কারো নেই। ভাড়ার বিষয়টা আমি আপনার কাছেই প্রথম শুনলাম। বিষয়টা খতিয়ে দেখছি। তবে এঘটনা সত্য প্রমাণিত হলে, উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।