বাংলা হান্ট ডেস্ক : বৈশাখের শুরু থেকেই চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। রীতিমত প্রাণ ওষ্ঠাগত অবস্থা। বিশেষ করে চরম সমস্যায় পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষজন। যার মধ্যে, যেসব মানুষ রোজ বাসে, ট্রেনে যাতায়াত করেন তাদের জীবনের সমস্যা সবচেয়ে বেশি। এই তীব্র দাবদাহে বেলাগাম কষ্ট ভূগতে হয় নিত্যযাত্রীদের। আর তাই বোধহয়, এই দাবদাহ থেকে বাঁচতে বিকল্প খুঁজে নিচ্ছে যাত্রীরা।
সেই বিকল্প খুঁজতে গিয়ে অন্যান্য মানুষের সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছেন তারা। সাধারণ কোচের পরিবর্তে সাধারণ কোচের যাত্রীরা ঢুকে পড়ছেন AC কামরায়। যাতে বিপদে পড়ছেন এসি কোচের বৈধ যাত্রীরা। তারা সরাসরি অভিযোগ জানাচ্ছেন রেলের (Indian Railways) কাছে। সেইসব ব্যক্তিদের দাবি, তারা এসি কোচে ভ্রমণের জন্য মোটা টাকা দিয়ে টিকিট কেটেছেন। এমন আবহে কেউ এসির টিকির ছাড়া কীভাবে এসিতে উঠতে পারেন?
যাত্রীদের ক্ষোভ মাত্রা ছাড়াতেই নড়েচড়ে বসেছে রেল কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর, এবার এই যাত্রীদের বিরুদ্ধে কঠোর হচ্ছে রেল। ইতিমধ্যেই সংরক্ষিত ও এসি কোচ থেকে অবৈধ যাত্রীদের সরানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে রেল। হাওড়া, বর্ধমান স্টেশনে অবৈধ যাত্রীদের সরানোর অভিযান শুরু করেছে ভারতীয় রেল। এই যেমন, গত মঙ্গলবারই পূর্বা, মিথিলা এবং উপাসনা এক্সপ্রেসে দেখা গেল এক ঝাঁক আরপিএফ ও টিটির।
আরও পড়ুন : এবার যেখান থেকে খুশি কাটতে পারবেন টিকিট, UTS অ্যাপে বড় বদল আনল রেল
কামরায় কামরায় ঢুকে তল্লাশি চালাচ্ছেন তারা। যে সব যাত্রী অবৈধভাবে এসি কোচে উঠে আসন দখল করে বসেছিলেন তাদের হিড়হিড় করে টেনে নামানো হয়। অর্থাৎ একথা স্পষ্ট যে, জেনারেল কোচের যাত্রীদের এখন শিরে সংক্রান্তি। অবৈধভাবে এসিতে যাতায়াতের সুযোগ এবার গেল। জেনারেল কোচেই যাতায়াত করতে হবে তাদের।
আরও পড়ুন:যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন উত্তরবঙ্গের সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের! হঠাৎ কী হল? বিপাকে লক্ষ লক্ষ মানুষ
সম্প্রতি এই বিষয়ে হাওড়ার ডিআরএম সঞ্জীব কুমার বলেন, ‘গরমে এমনিতেই অসুবিধা পড়েন যাত্রীরা। তার উপর সংরক্ষিত ও এসি কামরায় সাধারণ কোচের যাত্রীরা উঠে পড়লে অসুবিধা আরও বাড়ে। এই পরিস্থিতির মুখে যাতে পড়তে না হয় সংরক্ষিত কামরার যাত্রীদের তাই সিনিয়র ডিসিএম রাহুল রঞ্জনের নেতৃত্বে অভিযান শুরু করা হয়েছে। প্রচুর অবৈধ যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই সব কামরাতে আবার মাঝপথে কেউ চড়তে যাতে না পারে তার জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছে রেল। অভিযোগ পেলে সঙ্গে সঙ্গে যাতে ব্যবস্থা নেওয়া হয় তাই টিকিট পরীক্ষক ও আরপিএফকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’