নিজের শ্রাদ্ধের দিন হেলিকপ্টারে চড়ে বাড়িতে উপস্থিত “মৃত” ছেলে, তারপরে যা ঘটল জেনে চমকে উঠবেন

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ার (Social Media) দৌলতে মাঝেমধ্যে এমন কিছু ঘটনার প্রসঙ্গ সামনে আসে যেগুলি জানার পর রীতিমতো চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় সকলের। এমনকি, কিছু কিছু ক্ষেত্রে সেই ঘটনাগুলি হার মানিয়ে দেয় সিনেমার চিত্রনাট্যকেও। সেই রেশ বজায় রেখেই সম্প্রতি একটি চাঞ্চল্যকর বিষয় সামনে এসেছে।

এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, নিজের শ্রাদ্ধের দিনই হেলিকপ্টারে চেপে বাড়িতে পৌঁছে কার্যত সবাইকে অবাক করে দিয়েছেন “মৃত” ছেলে। হ্যাঁ, প্রথমে বিষয়টি জেনে ভিরমি খেলেও এবার ঠিক এই ঘটনাই ঘটেছে। বাড়িতে একমাত্র ছেলের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান চলাকালীন যখন চারিদিকেই শোকের আবহ ঠিক সেই সময়েই বাড়ির ঠিক কাছের একটি মাঠে অবতরণ করে হেলিকপ্টার।

তারপরেই, কপ্টারের দরজা খুলে সম্পূর্ণ সুস্থ এবং স্বভাবিকভাবে নেমে আসতে দেখা যায় “মৃত” ছেলেকে। পাশাপাশি, পায়ে হেঁটে তিনি ঢুকে যান নিজের বাড়িতেও। আর এহেন ঘটনা প্রত্যক্ষ করেই অবাক হয়ে যান সেখানে উপস্থিত সকলে। শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যেই এই সমগ্ৰ ঘটনার ভিডিওটি সামনে আসে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা ইতিমধ্যেই তুমুল ভাইরাল হতে শুরু করেছে।

উল্লেখ্য যে, ডেভিড বার্টেন নামে বছর পঁয়তাল্লিশের ওই “মৃত” ব্যক্তি হলেন বেলজিয়ামের বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, তিনি পেশাগতভাবে একজন সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বিগত কয়েকদিন ধরে কিছু বিষয় নিয়ে বাবা-মায়ের সাথে মতবিরোধ চলছিল ডেভিডের। তখনই তাঁর মনে হতে শুরু করে যে, তিনি হয়তো পরিবারের কাছে ক্রমশ গুরুত্বহীন হয়ে পড়ছেন। আর সেই জন্য ডেভিড এমন কিছু একটা করতে চেয়েছিলেন যাতে পরিবারের সদস্যরা তাঁর অভাবটা উপলব্ধি করতে পারেন। ওই কারণেই তিনি “মারা যাওয়ার” নাটক করার ফন্দি আটেন।

আর ওই পরিকল্পনা অনুযায়ী, ডেভিড বন্ধুদের দিয়ে পথ দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে রটিয়ে দেন। শুধু তাই নয়, ডেভিডের বন্ধুরা তাঁর পরিবারকে জানান, পথ দুর্ঘটনায় দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে যাওয়ায় দ্রুত অন্ত্যেষ্টিক্রিয়াও সম্পন্ন করা হয়েছে ডেভিডের। এদিকে, স্বাভাবিকভাবেই ছেলের মৃত্যুর খবর শুনে ডেভিডের বাবা-মা শোকে বিহ্বল হয়ে পড়েন।

18a7cd68 346095854 1265505137400120 5389123707582156257 n 2 1024x763

পাশাপাশি, সমগ্ৰ পরিবারে নেমে আসে শোকের ছায়াও। এমতাবস্থায়, আয়োজন করা হয় তাঁর শ্রাদ্ধানুষ্ঠানেরও। আর সেই অনুষ্ঠান চলাকালীন আচমকাই সেখানে সশরীরে উপস্থিত হয়ে ডেভিড সবাইকে অবাক করে দেন। পাশাপাশি, পুরো ঘটনাটি যে তাঁর পরিকল্পনায় ছিল সেই বিষয়টিও জানান ডেভিড।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর