বাংলাহান্ট ডেস্কঃ চীন (China) দখলকৃত তিব্বতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য লড়ে গিয়েছিলেন তিব্বতি মহিলা আমা আধে (Ama Adhe)। তিব্বতের স্বাধীনতার জন্য গর্ভাবস্থাতেও তিনি লড়াই করে গেছিলেন। চীন সরকারের বিরুদ্ধে তার এই লড়াইয়ের ফলে তাঁকে কারাগার বদ্ধ করা হয়েছিল। ২৭ বছর ধরে তিনি কারাগারের পেছনে জীবন কাটিয়েছিলেন।
আধা লামার জীবন সংগ্রাম
১৯২৮ সালে পূর্ব তিব্বতের এক যাযাবর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন আমা আধে। ১৯৫০ সালের চীনের আগ্রাসনের প্রতিবাদে তিনি সংঘর্ষে নেমেছিলেন। ১৯৫৪ সালে তার প্রথম সন্তান যখন ১ বছর বয়সের ছিল, তখন তিনি দ্বিতীয়বার সন্তান সম্ভবভা হন। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে তার স্বামী বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেন।
চীন সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামেন
অল্প বয়সে স্বামীকে হারিয়ে দেশের রক্ষার্থে গর্ভবতী অবস্থাতেই চীন সরকারের বিরুদ্ধে সংঘর্ষে সামিল হয়েছিলেন আমা আধে। কিন্তু এই তরুণ তুর্কিকে ১৯৫৮ সালে গ্রেপ্তার করে চীন সরকার। কারাগারে বন্দী করে বাচ্চাদের থেকে আলাদা করে দেওয়া হয়।
জীবন যুদ্ধে হেরে গেলেন তিনি
দীর্ঘ ২৭ বছর চীনের কারাগারে থাকার পর ১৯৮৫ সালে তিনি সেখান থেকে পালিয়ে ১৯৮৭ সালে ভারতে পালিয়ে আসেন। এখানে এসে ম্যাকলিউডগঞ্জকে দালাই লামার কাছে আশ্রয় গ্রহণ করেন আমা আধে। কিন্তু জীবন যুদ্ধে হেরে গেলেন এই সাহসী তিব্বতি মহিলা। কোনরকম শারীরিক সমস্যা ছিল না তার। কিন্তু বার্ধক্যজনিত কারণেই তার মৃত্যু হয় গত সোমবার।
‘আমাকে তাড়িয়ে…’ মদন মিত্রের পর এবার শুভেন্দু! তৃণমূল নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ