বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত দুদিন ধরে প্রায় ৯০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে ঘুরে নয়া মোড় নিয়েছে ‘কেষ্টকাণ্ড’। ইডির (ED) বহুদিনের আর্জিতে সায় দিয়ে ১৯ ডিসেম্বর অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) রাজধানী (Delhi) নিয়ে গিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেয় দিল্লির বিশেষ আদালত। আদালতের রায় মাফিক তড়িঘড়ি শুরু হয় অনুব্রতর দিল্লি যাত্রার প্রস্তুতি, তবে পর দিনই এক নাটকীয় মোড় নিল অনুব্রত মামলা। দিল্লি যাত্রার পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়ালো দলের কর্মী শিবঠাকুর।
২০২১ সালে দলীয় কার্যালয়ে শিবঠাকুরকে গলা টিপে ধরার অভিযোগে বর্তমানে কেষ্টকে ৭ দিনের পুলিশি হেফাজত দিয়েছে দুবরাজপুর আদালত। তবে সেই মেয়াদ ফুরোলেই অনুব্রতকে বঙ্গের সীমানা পেরিয়ে দিল্লি নিয়ে যেতে পারবেন ইডি আধিকারিকরা। তাই এবার কেষ্টর দিল্লি যাত্রা রুখতে ফের দিল্লি হাইকোর্টের (Delhi High Court) দ্বারস্থ কেষ্টর আইনজীবীরা। আজই সেই মামলার শুনানি দেবে আদালত।
কিছুদিন আগেই তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম অনুব্রতকে ‘বীরভূমের বাঘ বলে সম্বোধন করেছিল’। সেই কথা মতোই আপাতত অনুব্রতর ঠিকানা নিজের গড় বীরভূমের দুবরাজপুর জেল। নিজের এলাকাতেই বাঘ হয়ে বসে আছেন কেষ্ট। হোক না সেটা জেলের চৌকাঠের সীমানার মধ্যেই।
এ দিকে কেষ্ট মামলার নয়া মোড় নিয়ে রাজনৈতিক মহলে নেমেছে বিতর্কের ঝড়। অনুব্রত সহ শাসক দলকে বিধঁতে বাকি রাখেনি রাম-বাম কেউই। এ প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “কোর্টের ব্যাপারে কথা বলব না। কিন্তু কয়লা চোর বালিচোর বাঁচাতে সরকার যা করছে তার পরিণতি খারাপ।”
তবে এর পর কোন দিকে যেতে পারে কেষ্ট মামলা? আইনজীবী মহলের একাংশের মতে, প্রথমত দিল্লি হাইকোর্ট সব পক্ষকে নোটিশ জারি করতে পারে। অথবা পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করতে পারে হাইকোর্ট। অনুব্রতর আইনজীবি কপিল সিব্বলের আবেদনে স্থগিতাদেশের নির্দেশ দিতে পারে আদালত, আবার রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের আদেশের ওপর স্থগিতাদেশ দিতে পারে এমন সম্ভাবনাও রয়েছে। ঠিক কী ঘটতে চলে আজ, তবে কী বানচাল হবে কেষ্টর তিহাড় যাত্রা! এই সব প্রশ্নের উত্তর মিলবে আজই, অপেক্ষা মাত্র কিছুটা সময়ের।