অবৈধভাবে নিয়োগ হয়েছে বহু শিক্ষক! তড়িঘড়ি তথ্য চাইলো বিকাশভবন

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ৬ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছিল মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে মাদ্রাসাগুলিতে শিক্ষক নিয়োগ করা যাবে না। কিন্তু সিপিএমের প্রাক্তন সাংসদ মহম্মদ সেলিম সহ অনেকেই জানিয়েছিল , সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত মাদ্রাসায় বেআইনি নিয়োগ চলছে৷ যার পেছনে কাজ করছে তৃণমূলের দালাল চক্র।

এই অভিযোগেই বেজায় চটেছেন রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর, তারা নির্দেশিকা জারি করে  সুপ্রিম রায় অমান্য করে ‘বেআইনি’ শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত  নথি অবিলম্বে বিকাশভবনে মাদ্রাসা ডাইরেক্টরেটে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। মাদ্রাসা ডাইরেক্টরেটের নির্দেশিকায় স্পষ্ট ভাবেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই ধরনের নিয়োগ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অবমাননার শামিল৷ তাই শিক্ষা দপ্তর কিছুতেই তা অনুমোদন করবে না। আগামী দিনে সতর্ক থাকতেও বলা হয়েছে মাদ্রাসা গুলিকে।

teacher 1

মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে রাজ্য সরকার ও মাদ্রাসাগুলির পরিচালন কমিটিগুলির লড়াই বহুদিনের। হাই কোর্টের রায়ে বলা হয়েছিল রাজ্য সরকার-এর মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন।পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ (ববি) হাকিম হাই কোর্টের প্রসঙ্গে রায় জানিয়েছিলেন, ‘‘সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ না-করলে পরবর্তী কালে শিক্ষকদের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। কারণ, কমিশনের বদলে তখন তো সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসার পরিচালন সমিতিই তাদের পছন্দমতো শিক্ষক নিয়োগ করবে। ’’ সেই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য। প্রায় একবছর পর সেই মামলার রায় ঘোষনা করল দেশের সর্বোচ্চ আদালত।

সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মাদ্রাসা গুলির দ্বায়িত্বে থাকবে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন। মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন-এর মাধ্যমে নিয়োগ ভারতীয় সংবিধানের ৩০ নম্বর অনুচ্ছেদের পরিপন্থী নয়।

 

 

সম্পর্কিত খবর