বাংলা হান্ট ডেস্ক: মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন প্রাকৃতিক ঘটনা আমাদের অবাক করে দেয়। যেগুলির সম্পর্কে জেনে অথবা প্রত্যক্ষ করে চমকে যান সকলেই। এবার ঠিক সেইরকমই একটি বিষয় সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, পবিত্র নগরী মক্কা ও মদিনার মধ্যবর্তী স্থানে সৌদি আরবের (Saudi Arabia) বিস্তীর্ণ মরুভূমির একটি অংশ সাম্প্রতিক ভারী বর্ষণের পর আশ্চর্যজনক পরিবর্তনের সম্মুখীন হয়েছে।
মূলত, শুষ্ক ও জনশূন্য অঞ্চল বৃষ্টির কারণে নতুনভাবে প্রাণ পেয়েছে। শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যেই সমগ্ৰ এলাকাটি সবুজ রঙে ভরে উঠেছে। ওই দেশের পশ্চিমাঞ্চলে এই পরিবর্তন সবচেয়ে বেশি পরিলক্ষিত হয়েছে। মূলত, বৃষ্টির অতিরিক্ত জল শুকনো মাটিকে পুষ্ট করে ঘাস সহ গাছের বৃদ্ধি বাড়িয়েছে। যার ফলে মরুদেশে ঘটেছে বড় পরিবর্তন।
View this post on Instagram
পাশাপাশি, এই বিষয়টি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে সোশ্যাল মিডিয়াতেও। ইনস্টাগ্রামের একটি পোস্টে লেখা হয়েছে, ভারী বৃষ্টির পর মক্কা ও মদিনার কাছে সৌদি আরবের মরুভূমির কিছু অংশ সবুজ হয়ে গেছে। বিশেষ করে পশ্চিমাঞ্চলে বেশি জলের কারণে এই পরিবর্তন ঘটেছে। যার ফলে ঘাস ও গাছপালা বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি, ভাইরাল ছবিতে উটকে তাজা ঘাসের অংশে চরতে দেখা যাচ্ছে। এক সময় ওই স্থান সম্পূর্ণ শুষ্ক ছিল। এই অবাক করা দৃশ্যটি নাসার উপগ্রহ থেকেও দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: আজব কান্ড! ট্রেনের নাম বদলে হয়ে গেল “মার্ডার এক্সপ্রেস”, রেলের কীর্তিতে ফুঁসছে সবাই
সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে মরুভূমির এই সবুজ কিভাবে পৃথিবীর বাইরে থেকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে তাও জানানো হয়েছে। ক্যাপশনে উল্লেখ করা হয়েছে যে নাসার স্যাটেলাইটও এই অদ্ভুত দৃশ্য দেখতে সক্ষম হয়েছে। বৃষ্টির পর তোলা ফটোতে দেখা যাচ্ছে উটগুলি নতুন ঘাসের মধ্যে চরছে। যা সেই শুষ্ক এলাকায় অস্বাভাবিক। ওইসব জায়গায় আগে গাছপালা ছিল না। কিন্তু, এখান সেখানে সবুজ বাড়ছে।
আরও পড়ুন: ভারতীয় দলের জন্য সুখবর! T20 বিশ্বকাপের আগেই চোট সারিয়ে প্রত্যাবর্তন এই দুই তারকা খেলোয়াড়ের
এমতাবস্থায়, ওই পোস্টটি ইনস্টাগ্রামে খুব সহজেই ভাইরাল হয়েছে এবং প্রত্যেককে আকৃষ্ট করছে। পাশাপাশি, নেটিজেনরা এই ছবি প্রত্যক্ষ করে নিজেদের প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে একজন লিখেছেন, “বিষয়টি সত্যিই রোমাঞ্চকর! আমি বৃষ্টি পছন্দ করি।” বাইবেলের প্রসঙ্গ টেনে আরেক ব্যবহারকারী লিখেছেন, “বাহ, বাইবেলে এই ঘটনার ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে শুরু এবং শেষ সম্পর্কে ঈশ্বরই জানেন।”