বাংলাহান্ট ডেস্ক : সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়ে গিয়েছে অশান্তি। চারদিকে এখন বোমা ও গুলির লড়াই। গতকাল বাসন্তীতে (Basanti) বোমা বিস্ফোরণে জখম হয়েছেন চারজন। মনিরুল সহ দুজন মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার সকাল থেকেই গোটা এলাকা রীতিমতো থমথমে। এলাকার বাসিন্দা মনিরুল খাঁর বাড়িতে বোমা তৈরি হচ্ছিল বলে অভিযোগ।
স্থানীয়রা হঠাৎ তীব্র বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান। এরপর ঘটনাস্থলে গিয়ে তারা দেখেন যে ভষ্মীভূত হয়ে গিয়েছে গোটা বাড়ি। বাড়িতে থাকা চারজন বিস্ফোরণে আহত হয়ে রীতিমত ছটফট করছেন। এরপর উদ্ধার করা হয় তাদের। গোটা এলাকায় চলছে পুলিশি টহল। এই ঘটনার সূত্রপাত অবশ্য কিছুদিন আগে হয়েছিল। বিজেপির রাজ্য সম্পাদক সুকান্ত মজুমদার ও অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী কিছুদিন আগে এই এলাকায় এসেছিলেন। তারা এইখানে সভা করেন। তারপর এই এলাকায় সভা করেন তৃণমূলের চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
তৃণমূলের (All India Trinamool Congress) একাংশ অভিযোগ করেছিল, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য তৃণমূলের বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল সহ বেশ কয়েকজনকে অন্ধকারে রেখেই এই সভার আয়োজন করেন। এরপর তৃণমূলের একাংশ চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের গাড়ি ঘিরে রেখে বিক্ষোভ দেখান। এরপর থেকে গ্রামে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বাড়তে থাকে চাপানউতর।
হামলার অভিযোগ ওঠে যুব তৃণমূল নেতা ও আমঝাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ৮ নম্বর তিতকুমার এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য হাবিবুল্লা খানের ওপর। এরপর কাঠালবেড়িয়াতে সভার আয়োজন করা ব্লক যুব সভাপতি আমানুল্লা নস্করের নেতৃত্বে। আমানুল্লা নস্কর অভিযোগ করেন, সেই সভায় যাতে কাঠালবেড়িয়া থেকে লোকজন না যেতে পারে সেই জন্যই বোমা তৈরি করা হচ্ছিল মনিরুল নস্করের বাড়িতে। সেই বোমায় বিস্ফোরণ হয়েছে।
বিধায়ক শনিবার দাবি করেন, এই ঘটনার সাথে কোন যোগ নেই রাজনীতির। বাসন্তীর বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল বলেন, এই ঘটনা দুষ্কৃতিদের। এর সাথে রাজনীতি জড়ালে হবে না। আমি পুলিশকে অনুরোধ করব এই ঘটনার সাথে যারা যুক্ত তাদের শাস্তি হোক। যদিও ধৃত মনিরুল খান ও আব্দুল মজিদ নিজেদেরকে তৃণমূল কর্মী বলে দাবি করেছেন।