বাংলাহান্ট ডেস্ক : বেশ কিছুদিন ধরেই কোমরের সমস্যায় ভুগছিলেন বিষ্ণুপুর (Bishnupur) নিবাসী সমীর হালদার। বাধ্য হয়েই চিকিৎসক সুরজিৎ মণ্ডলের শরণাপন্ন হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, ‘চিকিৎসা’র নামে অসুস্থ সমীর হালদারের সঙ্গে যে ব্যবহার করলেন চিকিৎসক সুরজিৎ মণ্ডল তার শুধু নিন্দনীয়ই নয়, একই সঙ্গে চিকিৎসক মহলের কাছে তা যথেষ্ট লজ্জারও।
সমীর হালদারের প্রতি যে আচরণ করা হয়েছে তার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুলেও ধরেছেন। ইতিমধ্যেই, অসুস্থ ব্যক্তির সেই পোস্ট ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, কোমরের ব্যথা নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য তিনি চিকিৎসক সুরজিৎ মণ্ডলের কাছে গিয়েছিলেন মে মাসের প্রথম সপ্তাহে। এরপর চিকিৎসকের কথা মত MRI করাও হয়। আর সেই রিপোর্ট দেখাতে গিয়েই বিপত্তি বাধে।
ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখছেন, রিপোর্ট দেখানোর জন্য গতকাল গিয়েছিলাম, ডাক্তারবাবু দেখার পর মেডিসিন গুলো লিখেন এবং কয়েকটি ব্যায়াম দেখিয়ে দেয়। এরপর বেরানোর সময় কম্পাউন্ডার প্রেসক্রিপশন টি দেখে বলেন যে এটার জন্য fees লাগবে. তো আমি বললাম যে রিপোর্ট দেখানোর জন্য তো ফিজ লাগেনা । উনি ডাক্তারবাবুকে জিজ্ঞাসা করলেন ডাক্তার বাবু বললেন যে হ্যাঁ fees লাগবে।”
এরপর সমীরবাবু ‘টাকা নেই’ বলাতেই পরিস্থিতি পাল্টে যেতে থাকে। সমীরবাবুর কথায়, “আমি যেহেতু জানতাম না fees লাগবে সেজন্য টাকা নিয়ে যায়নি আর আমার কাছে ৩০০ টাকা ছিলনা।” এরপরেই আসরে নামেন স্বয়ং চিকিৎসক। সূত্রের খবর, রোগী আর কম্পাউন্ডারের কথাবার্তা শুনে চিকিৎসক প্রেসক্রিপশনটিতে যে মেডিসিন গুলো লিখেছিল সেগুলো সব কেটে দেন।
এমনকি তিনি রোগীকে জানান “আপনাকে মেডিসিন গুলো খেতে হবে না শুধু ব্যায়ামেই সেরে যাবে।” শুধু তাই নয়, সমীর হালদারের বক্তব্য অনুযায়ী, উনি বললেন আমার সাথে চালাকি করবেন না আপনি আমার সাথে চালাকি করলেন তাই আমিও আপনার সাথে চালাকি করলাম। আমার কাছে টাকা না থাকাটা ডাক্তারবাবু চালাকি বলে মনে হলো।”
ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে রীতিমতো মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছেন অসুস্থ সমীর হালদার। তবে, ঘটনাটি এখানেই থেমে থাকেনি। ইতিমধ্যেই, চিকিৎসকের তরফে সমীরবাবুর কাছে ‘নোটিশ’ পাঠানো হয়। সেই চিঠিতে স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, আগামী সাত দিনের মধ্যে জরিমানা হিসেবে তাকে দেড় কোটি টাকা দিতে হবে। সমীর বাবুর কথায়, “মানুষের সামনে তুলে ধরে প্রতিবাদ করার জন্য ডাক্তার বাবু আমার উপরে এই রকম পদক্ষেপ নিয়েছেন।”