বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা ভাইরাস (corona virus) যেন সারা বিশ্বকে গ্রাস করেছে। আতঙ্কে দু’চোখের পাতা এক করতে পারছে না কেউই। পাচ্ছে যদি তার যদি এই ভাইরাস ধরা পড়ে। সবাই খুবই সতর্কতার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।
কলকাতার দুই যুবক, এক নামী চিকিৎসকের পর এবার দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিলেন আরও এক চিকিৎসক। বসিরহাটের নৈহাটি এলাকার চিকিৎসক সম্প্রতি আমেরিকা থেকে ফিরে স্বাস্থ্য পরীক্ষা না করিয়েই সটান ঢুকে গেলেন অপারেশন থিয়েটারে। অস্ত্রোপচারও করলেন। পরে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর এই খবর জানতে পেরে তাঁকে সতর্ক করেন। আইন মেনে স্বাস্থ্য পরীক্ষা না করালে শাস্তি হবে, এই হুঁশিয়ারির পর তাঁকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়। আজ তিনি বেলেঘাটা (Beleghata) আইডি হাসপাতালে রক্তপরীক্ষা করাতে যাচ্ছেন। চিকিৎসকেরই এহেন কাণ্ডে এলাকায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন তিনেক আগে আমেরিকা থেকে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটে নিজের বাড়িতে ফিরেছিলেন এক চিকিৎসক। তিনি স্থানীয় একটি নার্সিংহোমের সঙ্গে যুক্ত। ফেরার পরেই তিনি নার্সিংহোমের কাজে যোগ দেন। রোগীদের দেখেন, দু-একটি অপারেশনও করেন। এভাবেই কেটে গিয়েছিল দু’দিন। পরে খোঁজখবর নিতে গিয়ে জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবব্রত মুখোপাধ্যায় বিষয়টি জানতে পারেন। তিনি নিজে ওই চিকিৎসককে ডেকে পাঠান নিজের দপ্তরে। জানতে চান যে বিদেশ থেকে ফিরে চিকিৎসক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়েছেন কি না। চিকিৎসক তাঁকে জানান যে বিমানবন্দরে নামার পর তাঁর থার্মাল স্ক্যানিং হয়েছিল। তাতে শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকই ছিল। করোনার কোনও রকম উপসর্গ ছিল না। তাই তিনি আলাদা করে কোনও পরীক্ষা করাননি।
এরপর তাঁকে জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান যে তিনি পরীক্ষা না করিয়ে অবিবেচককের মতো কাজ করেছেন। রাজ্যে নতুন করে লাগু হওয়া মহামারি আইন অনুযায়ী এর জন্য তাঁর শাস্তি হতে পারে। তাই যত দ্রুত সম্ভব তিনি যেন স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান। একথা শুনে আজ সকালে স্ত্রীকে নিয়ে ওই চিকিৎসক বেলেঘাটা আইডি’তে যান পরীক্ষা করাতে। পরে তাঁকে সস্ত্রীক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। বসিরহাটের পুলিশ, জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের বিধি মেনে সিল করে দিয়েছে নার্সিংহোমটি। তাঁর সংস্পর্শে এসেছেন, এমন ব্যক্তিদের শনাক্ত করে তাঁদের উপরেও নজর রাখছে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর।