উপচে পড়ছে দানপত্র, রামলালাকে উৎসর্গ করে এল কোটি কোটি টাকা! ভাইরাল হল ভিডিও

বাংলা হান্ট ডেস্ক : গত বুধবার সকাল থেকেই মেঘাচ্ছন্ন অযোধ্যার (Ayodhya) আকাশ। সূয্যি মামার টিকিটিও দেখা যায়নি গতকাল। যদিও ভক্তদের ভক্তির কোনও খামতি দেখা যায়নি। সূর্যবংশীয় রামলালাকে (Ramlala) দেখার জন ভোর ৩টে থেকে ভক্তরা লাইন দিয়ে রেখেছে রাম মন্দির (Ram Mandir) ‘ভক্তিপথ’এ। বেলা বাড়ার সাথে সাথেই ভক্তদের ঢল খানিকটা কমেছে বটে, তবুও প্রশাসনের তরফ থেকে কোনও ঢিল দেওয়া হচ্ছেনা। বেশ কড়া হাতেই ভিড় নিয়ন্ত্রণ করছে প্রশাসন।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সাল ১৯৯২ এর ৬ ডিসেম্বরের পর একটা ছাউনির মধ্যেই পুজো করা হত আরাধ্য রামলালার। সেখানেই জঙ্গি হামলা হয় ২০০৫ সালে‌। তারপর থেকেই কড়াকড়ি করা হয় রামলালার দর্শন। তবে এবার নিয়ম কড়াকড়ি হলেও রামলালার দর্শন আর অসম্ভব নয়। পায়ের জুতো থেকে শুরু করে গ্যাস অম্বলের ওষুধটুকুও জমা রেখে দিতে হচ্ছে নিরাপত্তারক্ষীদের কাছে।

যদিও রামলালার দর্শনের জন্য খুব একটা বেশি সময় দেওয়া হচ্ছেনা। ৩০ সেকেন্ড পরপরই সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে দর্শনার্থীদের। যদিও ভক্তদের মনে তা নিয়ে কোনও আক্ষেপ নেই। কেউ বলছেন ‘জয় শ্রী রাম’ তো কারও গলায় আবার ‘জয় সিয়ারাম’। কেউ কেউ আবার ‘মেরা লাডলা’ বলেই লুটিয়ে পড়ছেন রামলালার চরণে। দু হাত ভরে দান করছেন মন্দিরের দানপাত্রে (Ram Mandir Donation)।

আরও পড়ুন : পর্ণা-শিমূলের দিন শেষ? রাজকীয় কামব্যাক স্টার জলসার ‘অনুরাগের ছোঁয়া’র, বড় বদল TRP তালিকায়

গর্ভগৃহের দু’পাশের দানপত্র উপচে পড়ছে যেন। যে যার সাধ্যমত দান করছে এই প্রণামী বাক্সে। এরকমই একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে দেখা যাচ্ছে, এক বৃদ্ধ দু’হাতে করে দানপত্রে জমা হওয়া টাকা সরাচ্ছেন। সেই টাকার পরিমাণ এতটাই যে তা হয়ত গুণে শেষ করা যাবেনা। এখান থেকেই পরিস্কার যে, রামলালার প্রতি ভক্তদের ভক্তি কতটা।

আরও পড়ুন : দেশের মাটিতেই বেইজ্জত মলদ্বীপ সরকার! ভারত বিরোধীরা ফল হাতেনাতে পাচ্ছে মইজ্জু

সেখান থেকে বেরোলেই মিলছে বিনামূল্যে প্রসাদ। প্যাঁড়া প্রসাদের প্যাকেটে লেখা ‘শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দির, অযোধ্যাজি’। রামলালার পাশাপাশি এই নগরীও যেন ভগবান হয়ে উঠেছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, উদ্বোধনের দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) সহ অন্যান্য অতিথিরা যে জায়গায় বসেছিলেন সেই জায়গাটা একই রকম রেখে দেওয়া হয়েছে।

Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর