বাংলা হান্ট ডেস্ক : দুর্গাপুজোর (Durga Puja) মাস খানেক আগে থেকেই শুরু হয়ে যায় পুজো পুজো রব। বিশেষ করে থিম-পুজোর সাজসজ্জা নিয়ে মানুষের আগ্রহের শেষ থাকেনা। প্রতিবছরই নতুন নতুন কোনও থিম নিয়ে হাজির হয় পুজো কমিটিগুলি। এই যেমন, এই বছর খাদ্যবস্তু ফুচকা দিয়ে প্যান্ডেল সাজিয়ে রীতিমত আলোড়ন ফেলে দিয়েছে বেহালার (Behala) নূতন দল (Nutan Dal)। বিগত দেড়মাস ধরে চলেছে এই সাজসজ্জার কাজ।
সূত্রের খবর, বেহালার এই প্যান্ডেল সাজাতে থিম শিল্পী অয়ন সাহাকে দেড় মাস যাবত সাহায্য করে চলেছেন নেদারল্যান্ডস থেকে বেহালা উড়ে আসা দুই ওলন্দাজ শিল্পী বেঞ্জামিন এবং মার্টিনা। এই বিষয়ে জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট পুজো কমিটির সভাপতি দেবব্রত মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, গত বছর ইউনেস্কোর স্বীকৃতি ও পুরস্কার পাওয়ার পর বিদেশ থেকে শিল্পীদের আনানোর পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
যেই ভাবা সেই কাজ। শিল্পীদের যুক্তি, এইসব খাবার আমরা রোজ খাইনা ঠিকই তবে রসনা তৃপ্তি এতেই ঘটে। আর বাংলার ফুচকার জনপ্রিয়তা তো নতুন করে বলার কিছু নেই। আট থেকে আশি, সকলেই ভালোবাসে আলুর পুর ভরা টক-ঝাল-মিষ্টি এই খাবার। তাই এবার প্যান্ডেল থিম হিসেবে এই ফুচকাকেই বেছে নেওয়া হয়েছে। এবং এই কারণেই এবার থিমের নাম–‘তুষ্টি’। বাঁশ, কাঠ, টিন ও বাহারি রঙের কাপড়ের মাঝে থাকছে বিভিন্ন সাইজের সব ফুচকার সমাহার।
আরও পড়ুন : ‘ছেলেদের গায়ে হাত, মুখে চুমু…’, নন্দিনী দিদিকে নিয়ে বিষ্ফোরক অভিযোগ মিষ্টি দিদির
অনেকেই হয়ত ভাবতে পারেন যে, এই ফুচকা হয়ত কৃত্রিমভাবে তৈরি করা। তবে জানিয়ে দিই, এই ফুচকা কিন্তু একেবারে আসল ফুচকা। কোনোরকম কৃত্রিমতা নেই এতে। প্যান্ডেলের সাজসজ্জার জন্য বড়বাজার থেকে বস্তা বস্তা ফুচকা কিনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এইদিন। ক্লাবঘরে সেইসব ভাজার পর ফুচকা যাতে শক্ত না হয়ে যায় বা না ভাঙে তার জন্য একটা বিশেষ রাসায়নিক পদার্থ মাখানো হয়েছে।
আরও পড়ুন : বউকে সুখ দেওয়ায় ওস্তাদ শোভন! বছরে বছরে দেন এই বিশেষ উপহার, স্বীকারোক্তি বৈশাখীর
আর এই গোটা বিষয়টায় থিম শিল্পী অয়ন সাহার সঙ্গী হয়ে রয়েছেন দুই ওলন্দাজ আর্টিস্ট। পুজো কমিটির দোতলার ক্লাব ঘরে আর দেড়মাস যাবত রয়েছেন তারা। দিব্যি মানিয়ে নিয়েছেন বাঙালির ভাত-ডাল-শুক্তোর সাথে। আর তার সাথে আলুর পুর ভরা টক-ঝাল ফুচকা তো আছেই। শিল্পীদের কথায়, যে খাবারটা নিয়ে আজ দেড়মাস ধরে খাটছেন সেটা চেখে না দেখলে হয়! উল্লেখ্য, এই গোটা প্যান্ডেলটি সাজানোর জন্য মোট ফুচকা লেগেছে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার। এই থিম পুজোর ভাবনায় এবং প্রতিমা নির্মাণে যিনি রয়েছেন তিনি হচ্ছেন অয়ন সাহা।