Indian Railways: এখন থেকে আর এই স্টেশনগুলোতে থামবে না এক্সপ্রেস ট্রেন! বড়সড় সিদ্ধান্ত ভারতীয় রেলের

বাংলা হান্ট ডেস্ক: আমাদের দেশের পরিবহণ ক্ষেত্রে রেলপথকে (Indian Railways) “লাইফলাইন” বলা হয়। অর্থাৎ, রেল পরিষেবা ব্যতীত দেশের যাতায়াত ব্যবস্থাকে কার্যত কল্পনাও করা যায় না। প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ ট্রেনে চেপেই পৌঁছে যান নিজেদের গন্তব্যে। পাশাপাশি, দূরের কোনো গন্তব্যে পৌঁছনোর ক্ষেত্রেও এক্সপ্রেস ট্রেনকেই প্রাধান্য দেন অধিকাংশ মানুষ। এছাড়াও, অন্যান্য যাতায়াতের মাধ্যমের তুলনায় রেলপথে যাতায়াতের খরচ অনেকটাই কম। তবে, এবার এই এক্সপ্রেস ট্রেন সংক্রান্তই নতুন একটি নির্দেশিকা এবার সামনে এসেছে।

জানা গিয়েছে, এখন এক্সপ্রেস ট্রেনগুলিকে কেবলমাত্র সেই স্টেশনগুলিতে থামানো হবে যেখানে টিকিটের মাধ্যমে প্রতিদিন ১৫ হাজার টাকার বেশি আয় হয়। অর্থাৎ, দৈনিক ১৫ হাজার টাকার কম রোজগারের স্টেশনগুলিতে এক্সপ্রেস ট্রেন আর থামবে না। এদিকে, এতদিন পর্যন্ত পাঁচ হাজার টাকার আয়ের ভিত্তিতে অস্থায়ী স্টপেজের সুবিধা ছিল।

ইতিমধ্যেই রেলওয়ে বোর্ডের ডেপুটি ডিরেক্টর (কোচিং) বিবেক কুমার সিংহ গত ২৯ আগস্ট এই সংক্রান্ত একটি নির্দেশ জারি করেছেন। এদিকে, বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে, একটি স্টেশনে ট্রেন থামাতে প্রায় ২৫ হাজার টাকা খরচ হয়। যার মধ্যে বিদ্যুৎ, ডিজেলের খরচ, কর্মচারীদের বেতন, সাফাই, এবং যাত্রীদের সুবিধা অন্তর্ভুক্ত থাকে। এমতাবস্থায়, যে সমস্ত স্টেশনে কুড়ির কম যাত্রী ট্রেনে ওঠেন, সেসব স্টেশনে স্টপেজ বন্ধ করতে চলেছে রেল প্রশাসন।

জানিয়ে রাখি যে, উত্তর-পূর্ব রেলওয়েতে (North Eastern Railway) এমন ২০ টিরও বেশি স্টেশন রয়েছে যেখানে যাত্রীর সংখ্যা খুব কম। যদিও, সেখানে এই নির্দেশ জারি না হওয়া পর্যন্ত যেসব স্টেশনে ট্রেনের স্টপেজ রয়েছে সেগুলি আগের মতোই থাকবে।

Untitled design 2022 06 11T143829.989

এই এক্সপ্রেসগুলি পেয়েছে নতুন স্টপেজ: ইতিমধ্যেই নওতানওয়া-দুর্গ এক্সপ্রেসকে লক্ষ্মীপুর স্টেশনে এবং গোরখপুর-ময়লানি এক্সপ্রেসকে ব্রিজমানগঞ্জ স্টেশনে স্টপেজ দেওয়া হয়েছে। একইভাবে মুজাফফরপুর-বেনারস বাপুধাম এক্সপ্রেসকে সিসওয়া বাজার স্টেশনে থামানো হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, এই সমস্ত স্টেশনে যাত্রীদের থেকে আয় ১৫ হাজার টাকার বেশি রয়েছে।

ad

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর