বাংলাহান্ট ডেস্ক : রেল (Indian Railways) অধিগ্রহণ করেছিল জমি। ক্ষতিপূরণের দাবিতে আদালতে দারস্ত হয়েছিলেন বছর ৪৫ এর এক কৃষক। তবে তিনি হয়তো স্বপ্নেও ভাবতে পারেনি আদালত সেই রায় এমন কিছু দিতে পারে তাঁকে। যদিও ক্ষতিপূরণের সেই জিনিস বাড়ি নিয়ে যেতে পারলেন না লুধিয়ানার কৃষক সম্পূর্ণ সিং (Sampurna Singh)।
জমির ক্ষতিপূরণ বাবদ আদালতের নির্দেশে স্বর্ণ শতাব্দী এক্সপ্রেস (Swarn Shatabdi Express) পেয়েছিলেন লুধিয়ানার কৃষক। এ রায় দিয়েছিলেন অতিরিক্ত দায়রা বিচারক যশপাল বর্মা। কৃষকের সমস্ত কথা শুনে বিচারক নির্দেশ দেন, ‘যে মুহূর্তে লুধিয়ানা স্টেশনে পৌঁছবে স্বর্ণ শতাব্দী এক্সপ্রেস ট্রেনটি তখনই তা দিয়ে দিতে হবে কৃষককে’।
তবে এখানেই শেষ নয়। বিচারক নির্দেশ দেন স্টেশন মাস্টারের ঘর দিয়েও দিয়ে দিতে হবে ঐ কৃষককে। ঘটনার সূত্রপাত ২০০৭ সালে। জানা যায়, সে সময় লুধিয়ানা চণ্ডীগড় রেলপথের জন্য জমি অধিকগ্রহণ করা হয়েছিল। ১ একর জমির জন্য দেওয়া হয় ২৫ লক্ষ টাকা। যদিও পরে তা বৃদ্ধি করে ৫০ লক্ষ টাকা করা হয়।
আর সেই মতোই ওই কৃষক সম্পূর্ণ সিং দাবিদার ছিলেন ১ কোটি ৪৭ লক্ষ টাকার। যদিও নর্দান রেলওয়ে তাকে মাত্র ৪২ লক্ষ টাকা দিয়েছিল আর এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন কৃষক। ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে কৃষককে বকেয়া ক্ষতিপূরণ মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। যদিও সেই টাকা না মেলায় পুনরায় আদালতে আবেদন জানান সম্পূর্ণ সিং।
এরপরেই আদালত নির্দেশ দেয় স্বর্ণ শতাব্দী এক্সপ্রেস ট্রেনটি দিতে হবে কৃষকে। আদালতের নির্দেশ মেনে নির্দিষ্ট সময় স্টেশনে পৌঁছে গিয়েছিলেন সম্পূর্ণ সিং। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী রাকেশ গান্ধী। স্টেশনে ট্রেন পৌঁছতেই আদালতের নির্দেশ ট্রেন চালকের হাতে তুলে দেন ওই কৃষক। আর তারপরেই সুপারদারি নিয়ে ট্রেনটি সম্পূর্ণের হাত থেকে নিয়ে নেন সেকশন ইঞ্জিনিয়ার প্রদীপ কুমার। অর্থাৎ মাত্র কিছুক্ষণের জন্যই ট্রেনের মালিক হয়েছিলেন তিনি।