বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভারত (India) হল একটি কৃষিপ্রধান দেশ। এই দেশের মোট জনসংখ্যার একটি বড় অংশ প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত থাকেন কৃষিকাজের (Farming) সাথে। তবে, বর্তমান সময়ে যুগের সাথে পাল্লা দিয়ে প্রতিটি ক্ষেত্রেই বিভিন্ন পরিবর্তন পরিলক্ষিত হচ্ছে। চাষাবাদও তার ব্যতিক্রম নয়। এখন বহু কৃষক বিভিন্ন অভিনব উপায় অবলম্বন করে চাষাবাদের মাধ্যমে বিপুলভাবে লাভবান হচ্ছেন। বর্তমান প্রতিবেদনে আমরা ঠিক সেইরকমই এক ব্যক্তির সাথে আপনাদের পরিচয় করাবো।
মূলত, মহারাষ্ট্রের লাতুর জেলার বাসিন্দা কৃষক মঙ্গেশ শিবরাজ আপ্পা ধানসুরে, মাত্র ৪ মাসে পেঁপে-তরমুজ বিক্রি করে ৩২ লক্ষ টাকা আয় করেছেন। হ্যাঁ, প্রথমে বিষয়টি জেনে চমকে গেলেও এটা কিন্তু একদমই সত্যি। শুধু তাই নয়, তাঁর চাষের পদ্ধতিতে অনুপ্রাণিত হয়ে অন্যান্য কৃষকরা তাঁর কাছ থেকে সঠিক পরামর্শ চাইতে আসছেন।
৬ লক্ষ টাকায় লাগিয়েছিলেন ৭,০০০ পেঁপে গাছ: মঙ্গেশ শিবরাজ আপা ধানসুরে পেশায় একজন কৃষক। তিনি লাতুর জেলার নীলঙ্গা তহসিলের লিম্বালা গ্রামের বাসিন্দা। মঙ্গেশ তাঁর গ্রামেই সাড়ে ৬ একর জমিতে পেঁপে চাষ করেছেন। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে, তিনি প্রায় ৭,০০০ পেঁপের চারা রোপণ করেছিলেন। যার দাম ছিল ৬ লক্ষ টাকা। ৮ মাস পর পেঁপে উৎপাদন শুরু হয় এবং মঙ্গেশ গত অগাস্ট মাস থেকে পেঁপে বিক্রি করছেন। এখনও পর্যন্ত তিনি ২৪ লক্ষ টাকার পেঁপে বিক্রি করেছেন বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: বিয়ের মরশুমে ফের দাম বাড়ল সোনা-রুপোর! প্রতি গ্রাম কিনতে গেলে করতে হবে এত খরচ
পেঁপে বিক্রি করে লাভ হয়েছে ১৮ লক্ষ টাকা: আজ তকের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, মঙ্গেশ ১৫ দিন অন্তর তাঁর বাগান থেকে ২০ টন পেঁপে পান। এদিকে, এখন বাজারে পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা কেজি দরে। এভাবে ১৫ দিনে তিনি প্রায় ৩ লক্ষ টাকার পেঁপে বিক্রি করেন। অগাস্ট থেকে এখনও পর্যন্ত, মঙ্গেশ তাঁর বাগান থেকে ৮ বার পেঁপে তুলেছেন এবং ৪ মাসে ২৪ লক্ষ টাকা আয় করেছেন। এমতাবস্থায়, পেঁপে গাছ রোপনের খরচ বাদ দিলে এখনও পর্যন্ত পেঁপে বিক্রি থেকে তাঁর ১৮ লক্ষ টাকা লাভ হয়েছে।
আরও পড়ুন: কেন ট্রেনের ডিজেল ইঞ্জিনকে সবসময় চালু রাখা হয়? কারণ জানলে চমকে উঠবেন
তরমুজ থেকে হয়েছে ১৪ লক্ষের লাভ: জানিয়ে রাখি, মঙ্গেশ তাঁর ৬.৫ একর পেঁপে বাগানে তরমুজের চাষও করেন। এই বছর তিনি ৪ লক্ষ টাকার তরমুজ বপন করেছিলেন। যেটি থেকে তিনি মাত্র ৪ মাসে প্রায় ১৬০ টন তরমুজ বিক্রি করে ১৮ লক্ষ টাকা আয় করেছেন।
এক্ষেত্রে তরমুজ রোপনের ৪ লক্ষ টাকা খরচ বাদ দিলে মঙ্গেশ তরমুজ বিক্রি করেই ১৪ লক্ষ টাকা লাভ করেছেন। এর পাশাপাশি যদি পেঁপে থেকে অর্জিত ১৮ লক্ষ টাকা লাভ যুক্ত করা হয় সেক্ষেত্রে মঙ্গেশ মাত্র চার মাসে পেঁপে এবং তরমুজ বিক্রি করে ৩২ লক্ষ টাকা লাভ করেছেন।