সর্পদংশনে মৃত্যু একমাত্র ছেলের, নিজে দাঁড়িয়ে থেকে বিধবা পুত্রবধূর বিয়ে দিলেন শ্বশুর

বাংলাহান্ট ডেস্ক : একমাত্র পুত্রের মৃত্যু হয়েছে সাপের কামড়ে। বছরখানেক আগে পুত্রহারা হন তিনি। এরপর কিশোর চট্টোপাধ্যায় বিধবা বৌমা ও নাতনির যাবতীয় দায়িত্ব তুলে নিয়েছিলেন নিজের কাঁধে। কিন্তু বয়স বাড়ছে। তাই ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বিধবা বৌমার সাথে পুত্রের এক বন্ধুর বিয়ে দিলেন পশ্চিম বর্ধমানের জামুড়িয়ার বাসিন্দা কিশোর চট্টোপাধ্যায়। হিন্দু রীতি মেনেই চার হাত এক হল পূজা চট্টোপাধ্যায় ও প্রভাত ফৌজদারের।

কিশোর চট্টোপাধ্যায় জামুড়িয়ার চিঁচুরিয়া এলাকার বাসিন্দা। কয়েক বছর আগে তাঁর একমাত্র পুত্র ইন্দ্রজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের বিয়ে দিয়েছিলেন পূজার সাথে। কিন্তু বিয়ের দুই বছরের মধ্যেই সাপের কামড়ে মৃত্যু হয় ইন্দ্রজিতের। এরপর পুত্রবধূ পূজা ও তার মেয়ের একমাত্র ভরসা বলতে ছিলেন কিশোর বাবু।

কিন্তু ভবিষ্যতের কথা ভেবে বিধবা বৌমার ফের একবার বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন কিশোরবাবু। এরপর পাত্র হিসেবে তিনি মনোনীত করেন তাঁরই ছেলের এক বন্ধুকে। কিশোরবাবুর এই প্রস্তাব মেনেও নেন ওই একই গ্রামের বাসিন্দা প্রভাত ফৌজদার।

এরপর দুই পরিবারের উপস্থিতিতে আসানসোল ঘাগরবুড়ি মন্দিরে প্রভাত ও পূজার বিয়ে সম্পন্ন হল শুক্রবার। আত্মীয় ও বন্ধুরা এসে প্রাণ খুলে আশীর্বাদ করলেন এই নব দম্পতিকে। পাশাপাশি কিশোর চট্টোপাধ্যায় ও প্রভাত ফৌজদারের প্রশংসা করেন সবাই। কিশোর বাবুর এই উদ্যোগকে কুর্নিশ জানিয়েছেন স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান বিশ্বনাথ সাংগুই ও পঞ্চায়েত সদস্য অমিত কুমার চক্রবর্তী।

marriage.1.345544

কিশোরবাবু জানান, “সাপের কামড়ে একমাত্র ছেলেকে হারিয়েছি। পুত্রবধূ ও নাতনীকে আমিই দেখভাল করছিলাম। কিন্তু ভবিষ্যতের কথা ভেবে পাত্র দেখা শুরু করি।” অন্যদিকে পাত্র প্রভাত জানিয়েছেন, “প্রস্তাব আসার পরই আমি রাজি হয়ে যাই। যাকে বিয়ে করছি তাকে আমি বহুদিন ধরে চিনি। পূজা ও তার সন্তানকে আমি ভালো রাখার চেষ্টা করব।”


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর