যোগীরাজ্যে ঘাঁটি গড়তে গিয়েও পিছিয়ে এল তৃণমূল, আপাতত পাখির চোখ গোয়া-ত্রিপুরা

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ সর্বভারতীয় স্তরে পৌঁছাতে ত্রিপুরাকে টার্গেট করেছে তৃণমূল (tmc) শিবির। সেখানেই নিজেদের ঘাঁটি শক্ত করতে মরিয়া সবুজ বাহিনী। তবে এরই মধ্যে ডেরেক ও ব্রায়েন (Derek O’Brien) জানালেন, এখনই উত্তরপ্রদেশের দিকে পা বাড়াচ্ছে না তৃণমূল। গোয়া ত্রিপুরার মত ছোট ছোট রাজ্যগুলোকে প্রথমে টার্গেট করা হচ্ছে।

বর্তমান সময়ে সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে গোয়াতেই নিজের আস্থানা বানিয়েছেন ডেরেক ও ব্রায়েন। সেখানে দলের সংগঠন বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাও পালন করছেন তিনি। জানা গিয়েছে, গোয়ায় কংগ্রেস দলে ভাঙ্গন ধরিয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেইরোকেও দলে নিচ্ছে সবুজ শিবির।

mamata banerjee meets sonia gandhi 4d9d2b40 8ced 11e7 b1bc 83ce932a2009

বারবার কংগ্রেস কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ‘আমাদের প্রধান টার্গেট বিজেপি। তবে কংগ্রেসকে টার্গেট না বানালেও, এটা ঠিক যে ভবিষ্যতে কোন না কোন কংগ্রেস নেতা ঠিক আমাদের দলে এসে যোগ দেবেন। তবে লুইজিনহো ফেলেইরো একজন স্ট্রিট ফাইটারকে দেখতে চেয়েছেন এটা যেমন ঠিক, তেমনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাস্তার লড়াকু নেত্রী হওয়ার পাশাপাশি আবার সুশাসনও করেছেন’।

ডেরেক ও ব্রায়েন আরও বলেন, ‘বিজেপি নিজেদের প্রতিশুতি রাখতে পারেনি। আরএসএস-এর মতাদর্শ না বদলালে কিছুই হবে না। তবে আমরা কোন বড় লড়াইয়ের দিকে এগোচ্ছি না, আমরা সঠিক রণকৌশল নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিশ্বাসযোগ্যতার দিক থেকে এগিয়ে আছেন। নোট বাতিলের সময় কিন্তু শিবসেনা, ওমর আবদুল্লাহ আমাদের পাশে ছিলেন’।

গোয়া জয়ের স্বপ্নের বিষয়ে ডেরেক জানান, ‘গত জুন মাস থেকে নিচুতলায় সংগঠন তৈরি করার কাজ চললেও, তৃণমূলের সাংসদরা গোয়ায় মাত্র এক সপ্তাহ আগে এসেছেন। গোয়ায় নির্বাচনে আমরা লড়ব। গোয়ার নাগরিক সমাজের বিশিষ্ট জনদের মধ্যে লেখক, নাট্যকার, শিল্পী অনেকেই আমাদের পাশে আছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক তাঁর লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবেন’।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর