বাংলাহান্ট ডেস্ক : শিলিগুড়ির দার্জিলিং মোরে যানজট নিত্যদিনের ছবি। স্থানীয় বাসিন্দা থেকে পর্যটক, এই যানজটে নাকাল হন সবাই। এবার হয়তো সেই যানজটের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি ঘটতে চলেছে। শিলিগুড়িতে নতুন ফ্লাইওভারের দিকে তাকিয়ে আশায় বুক বাঁধছেন সবাই। শিলিগুড়ির এই বহু প্রতীক্ষিত ফ্লাইওভারের শিলান্যাস হয়ে গেল বৃহস্পতিবার। কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণমন্ত্রী নীতিন গডকড়ি শিলান্যাস করলেন এই ফ্লাইওভারের।
এই ফ্লাইওভারটি বিস্তৃত হবে শিলিগুড়ির বালাসন থেকে সেভকের আর্মি ক্যাম্প পর্যন্ত । প্রায় ১০০০ কোটি টাকা এই ফ্লাইওভারটি নির্মাণের জন্য ধার্য করা হয়েছে। প্রশাসনিক কর্তাদের আশা এই ফ্লাইওভারটি নির্মিত হয়ে গেলে শিলিগুড়ি শহর কিছুটা হলেও যানজটের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবে। এছাড়াও অন্যান্য জায়গার সাথে শিলিগুড়ির যোগাযোগ ব্যবস্থা আর উন্নত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ফ্লাইওভার শিলান্যাসের অনুষ্ঠানে আজ শিলিগুড়ির দাগাপুরে উপস্থিত হন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গডকড়ি। শিলান্যাস অনুষ্ঠানে ডাকা হয়েছিল তৃণমূল নেতা গৌতব দেব ও সৌরভ চক্রবর্তীকেও। গৌতম দেব অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের বলেন, এটি কেন্দ্রীয় সরকারের একটি অনুষ্ঠান। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এই অনুষ্ঠানে এসেছেন। আমাদের আমন্ত্রণ করা হয়েছিল বলে আমরা এসেছি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ফ্লাইওভার নিয়ে আগের মন্ত্রিসভায় চিঠি দিয়েছিলেন। কথা বলেছিলেন নীতিন গডকড়ির সঙ্গেও। ফ্লাইওভারের দাবিতে আমরা অনশনও করেছিলাম। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর সুফল মিলেছে।
শিলিগুড়িবাসী নতুন এই ফ্লাইওভারটিকে ঘিরে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন। ওয়াকিবহলমহল মনে করছে নতুন এই ফ্লাইওভারটি নির্মিত হলে উত্তর-পূর্ব ভারতের যোগাযোগ ব্যবস্থা আর উন্নত হবে। পাশাপাশি দাবি করা হচ্ছে শিলিগুড়ির এই ফ্লাইওভারটি হতে চলেছে পূর্ব ভারতের দীর্ঘতম সেতু।